eaibanglai
Homeএই বাংলায়'আরজি করের ঘটনায় সব তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে' রাহুল সিনহা

‘আরজি করের ঘটনায় সব তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে’ রাহুল সিনহা

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- “আরজি করের ঘটনায় সব তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে।” এমনই অভিযোগে আরজি করের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশকে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাহুল সিনহা। শুক্রবার রাতে আসানসোলের আপকার গার্ডেনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই অভিযোগ করেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা।

এদিন আরজি কর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হাসপাতালের যেখানে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিলো, তার আশেপাশের সব তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। প্লেস অফ ওকারেন্স” বা ঘটনাস্থল ভেঙ্গে পুনঃনির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিলো। সবকিছু স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কলকাতা পুলিশ প্রমাণ লোপাট করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষকে বাঁচাতে তাঁর রাজনৈতিক জীবন এবং তার সরকারকে বিসর্জন দিয়েছেন। এমন নয় যে ডাঃ সন্দীপ ঘোষই কোন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একমাত্র অধ্যক্ষ। এ ছাড়াও এই রাজ্যে অনেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ রয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করেননি। আমরা পরিষ্কারভাবে ও স্পষ্ট বলছি যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের লোকেরা এই ঘটনার সাথে সম্পূর্ণভাবে জড়িত আছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাঃ ঘোষের মাধ্যমে অন্য কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। ডাঃ সন্দীপ ঘোষ হোক বা কলকাতার পুলিশ কমিশনার যে এমন কাজটি করেছেন, তা তারা নিজের ইচ্ছায় করেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এসব হয়েছে। তাই ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মহিলা ডাক্তারের বাবা-মাকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারা মনে করেছিলেন যে এত বড় অঙ্কের টাকায় মহিলা ডাক্তারের বাবা-মা লোভের বশবর্তী হবেন এবং তাদের মেয়েকে ভুলে যাবেন। কিন্তু, তারা এটা ভুলে গেছেন যে, পৃথিবীতে এখনো এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা তাদের মেয়েদের সম্মানের সাথে আপোষ করেন না। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন খুন হওয়া মহিলা ডাক্তারের বাবা-মা। এর জন্য আমি তার বাবা-মাকে স্যালুট করছি।”

পাশাপাশি এদিন তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যতদিন না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করছেন, ততদিন বিজেপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন রাতে অন্য জেলায় দলের কর্মসূচি শেষে আসানসোলের আপকার গার্ডেনে ভারতীয় জনতা পার্টির ট্রেড সেলের রাজ্য কো-কনভেনার সুব্রত ওরফে মিঠু ঘাঁটির বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সেখানে নির্মল কর্মকার, শঙ্কর চৌধুরী, ভৃগু ঠাকুরের মতো শিল্পাঞ্চলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র বিজেপি নেতার সঙ্গে সংগঠন সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা সারেন তিনি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments