সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– আসানসোলের কুলটিতে তৃণমূলের ওয়ার্ড প্রেসিডেন্টকে মারধর করার অভিযোগ গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ তিন জন। যদিও ধৃত প্রাক্তন কাউন্সিলরের দাবি তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের দল বিরুদ্ধ কাজের রিরোধীতা করার জন্য তাকে জেলে পাঠানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত আসানসোল পৌরনিগমের ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট মহম্মদ জমীর কুরেসীর বাড়ির সামনে রান্না করার কিছু বাসন রাখাকে কেন্দ্র করে রবিবার এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর আখতার হোসেন ও তার দলবলের সঙ্গে বর্তমান কাউন্সিলর নাদিম আখতার ওরফে বাবলুর গোষ্ঠীর সঙ্গে ঝামেলা বাধে। ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট মহম্মদ জমীর কুরেসীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। প্রকাশ্য রাস্তায় দুই দলের হাতাহাতির ছবি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে ও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরালও হয়। পরে কুলটি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থতি সামাল দেয় ও আখতার হোসেনকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
যদিও পাল্টা গন্ডগোলের অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন কাউন্সিলর আখতার হোসেনও। তার দাবি তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের অঙ্গুলি হেলনেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আখতার বলেন, “কুলটিতে উজ্জল চ্যাটার্জি যা বলবে তাই হবে। সেই জন্য কুলটিতে টিএমসি হারছে। উজ্জ্বল চ্যাটার্জি যদি থাকে আগামী দিনে টিএমসির অবস্থা আরও খাপার হবে। আমরা দিদির সৈনিক। দিদি ওনাকে পোস্ট দিয়েছেন ঠিকই দিদি বিচার করবেন পরে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কুলটির ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কয়েকবারের কাউন্সিলার ছিলেন আখতার হোসেন । ২০২২ সালে আসানসোল পুরনিগমের ভোটে ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য় তৃণমূলের টিকিটও পান তিনি। যদিও ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন নাদিম আখতার। পরে তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি ৷ বর্তমানে তিনি কাউন্সিলর হওয়ার পাশাপাশি ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতিও। অভিযোগ তারপর থেকেই বর্তমান এবং প্রাক্তন কাউন্সিলরের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় ও প্রায়ই ঝামেলা লেগে থাকে।
