eaibanglai
Homeএই বাংলায়ভুতের রাজার বরপুত্র/৮ ...

ভুতের রাজার বরপুত্র/৮ শিল্পের জমিতে বহুতল দুর্গাপুরে, তৃণমূল নেতার মদতেঃ নিশচুপ এডিডিএ

সংবাদদাতা, দুর্গাপুর:- ডঃবিধান চন্দ্র রায়ের আমলে গড়ে উঠে এ.ই.এস.বি.ওয়াই. (এইসবি)কোম্পানির ১৩ একর ইন্ডাস্ট্রিয়াল জায়গার উপর ছোট ছোট কারখানা গড়ে উঠেছিল। পরবর্তীকালে বাম আমলে এই এইসবি স্টেট বন্ধ হয়ে যায়। প্রাচীর দিয়ে ঘেরা এইসবি স্টেটের ১৩ একর ইন্ডাস্ট্রিয়াল জমি ধীরে ধীরে বেদখল হতে থাকে। বাম আমলে সিপিএম নেতাদের মদতে যে যেমনভাবে পারে ওই জমি দখল নিতে থাকে। গড়ে উঠে একের পর ঘর বাড়ি, আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে। অভিযোগ, এই জমি দখলের নেপথ্যে চলে লক্ষ লক্ষ টাকার খেলা। প্রশ্ন, ১৯৯৭ সালে দুর্গাপুর পুরসভা গড়ে ওঠার পরও কিভাবে বিনা প্ল্যানে ওই সমস্ত বাড়িগুলো গড়ে ওঠে? ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল জমির মালিক আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন সাংস্থা (এডিডিএ)। সংস্থার কর্তারা কেনো তাদের কোটি কোটি টাকা মূল্যের এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল জমি দখল করতে দিলেন? বাম আমলে সিপিএম নেতাদের এমন দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের অভিযোগ ছিল ভুরিভুরি। মানুষ ভেবেছিলো রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হলে এইসব দুর্নীতির তদন্ত হবে, কিন্তু হয়নি। সেই বাম আমলে শুরু হওযা ওই এডিডিএ এর ইন্ডাস্ট্রিয়াল জমিতে আজও গড়ে ওঠছে বহুতল বিল্ডিং। প্রশ্ন উঠছে যে জমিতে ওই বহুতল নির্মাণকাজ চলছে, সেখানে ছিল বাসুদেব ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি ছোট কারখানা। সেই কারখানার জায়গাতেই রাতারাতি এই বহুতল নির্মাণ চলছে, যা প্রকাশ্যেই দেখাযায়। এখন প্রশ্ন উঠছে, ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে এডিডিএর অনুমোদন প্রয়োজন, তা কি নেওয়া হয়েছে? আর যদি হয়ে থাকে, তাহলে ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল জমিতে কি বহুতল বিল্ডিং নির্মাণ করা যায়? এডিডিএর এক আধিকারিক বলেন, “ইন্ডাস্ট্রিয়াল জমিতে কেবল ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠতে পারে, কোনো ঘরবাড়ি নয়। আর বিল্ডিং তৈরির ক্ষেত্রেও দুর্গাপুর পুরসভার বৈধ প্ল্যান পাশ হওয়া দরকার।

বাম আমলে যেসব তৃণমূল নেতারা এইসব জমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলা ফাটাতেন আজ রাজ্যে তৃনমূল আমলে সেইসব তৃণমূল নেতারা কোনো এক অজ্ঞাত কারণে নীরব। কিন্তু, কেনো? সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পর একশ্রেণীর তৃণমূল নেতা সেইসব অভিযোগকে পকেটে পুরে রেখে উপরি কামাতেই ব্যস্ত। তারফলে, আজও চলছে সরকারি জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ। রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পর জবরদখল হয়ে যাওয়া এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল জমি পুনরুদ্ধার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলো এলাকার মানুষ। কিন্তু, তা না হয়ে বাম আমলের ধারা আজও অব্যাহত তৃণমূলের গুটিকয় নেতাদের দৌলতে। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল জমিতে নতুন করে যে বিল্ডিং নির্মাণ কাজ চলছে, তার নেপথ্যে রয়েছে দুজন তৃণমূল নেতার প্রত্যক্ষ মদত। কারণ – ওই নির্মাণকারি সংস্থার সাথে ওই তৃণমূল নেতাদের গপন আঁতাত, বলে অভিযগ। স্থানীয় মানুষ এর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলছে। ওই সংস্থার সঙ্গে স্থানীয় দুই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার ঘনিষ্টতার কথা সবাই জানে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল পার্টি অফিসের পাশেই ওই নির্মাণ চলছে, অথচ কেউ প্রতিবাদ করছে না কেনো? এপ্রশ্ন গোটা সগরভাঙ্গা, কারাঙ্গপারা জুড়েই।


এডিডিএ চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরসভার মেয়র দীলিপ অগস্তি কি পারবেন এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে?
এই শিল্প স্টেটের ভেতরে ছিল বহু অনুসারী ছোট ছোট শিল্প কারখানা। শোনা যায়, এই স্টেটের মালিক সঞ্জীব ভট্টাচার্য রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডা: রায়ের স্নেহধন্য ছিলেন। তাই, দুর্গাপুরে শিল্পের প্রয়োজনে অনুসারী শিল্প গড়ে তোলার জন্য সঞ্জীব ভট্টাচার্যকে এই জমি দেওয়া হয়। সেই জমিতেই গড়ে ওঠে এইসবি স্টেট। ওই শিল্পপতি সঞ্জীব ভট্টাচার্য মারা যাওয়ার পর তার নাম অনুসারে এসবি মোড় থেকে জেসপ কারখানা যাওয়ার রাস্তাটির নাম হয় সঞ্জীব সরণি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments