জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,দুর্গাপুরঃ- সীমান্তবর্তী রাজ্য হিসাবে বাংলার জনতত্ত্ব কি বদলে যাচ্ছে? রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ওপার বাংলার মানুষের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে হিন্দি ভাষীদের দাপট। ব্যাংক,রেল থেকে শুরু করে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন অফিসে বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত হিন্দি ভাষীদের সংখ্যা বেশি। যদিও তারা সবাই ভারতবাসী এবং দেশের যেকোনো প্রান্তে কাজ করার অধিকার তাদের আছে।
সমস্যাটা এখানে নয়, সমস্যা হলো ওইসব রাজ্য থেকে জাল ডমিসাইল অর্থাৎ স্থায়ী বাসিন্দা এবং কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে বাংলায় এসে তারা বাংলার ছেলেমেয়েদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করছে। শুধু তাই নয় বাংলায় পরীক্ষা দিতে এসে বাংলার মা-বোন এবং বাঙালিদের কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করছে, শারীরিক ভাবে আঘাতও করছে। মাঝে মাঝে এইসব খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
বাঙালির ভাবাবেগ ও জাতিসত্ত্বা জাগ্রত করার লক্ষ্যে এবং হিন্দি ভাষীদের অমানবিক আচরণের প্রতিবাদে ‘বাংলার মুখ’ নামক একটি সংস্থা গত ৩০ শে জুলাই সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর সিটিসেন্টার বাসস্ট্যান্ডে এবং সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টা নাগাদ আরা মোড়ে পথসভা এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ লাহা, সম্পাদক রাজেশ ভান্ডারী, ‘বাংলার মুখ’-এর মহিলা শাখার সভাপতি মনি চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সৌম্য চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ।
সোমনাথ বাবু বললেন – গত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাঙালিদের প্রতি বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে আগতদের নির্মম আচরণ দেখা যাচ্ছে। গত ১৬ ই জুলাই সল্টলেক সেক্টর ৫ এ পরীক্ষা দিতে এসে বাংলার মা-বোন ও বাঙালিদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ পর্যন্ত করেছে। তারই জন্য আমাদের এই প্রতিবাদ সভা। তিনি এটাও বলেন- বাঙালির অধিকার রক্ষায় এই সংস্থা কাজ করলেও কোনো সংকীর্ণ ভাবধারায় তারা বিশ্বাসী নয়। কারণ আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা ভারতবাসী।