সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- বাঁকুড়া তিন অধ্যাপক মিলে তৈরি করে ফেললেন সেন্সর ভিত্তিক ভিস্কোসিটি মেজারমেন্ট ডিভাইস । যা আন্তর্জাতিক পেটেন্ট পেয়েছে। এই ডিভাইস ব্যাবহারিক ক্ষেত্রে সফলভাগে প্রয়োগে আনা গেলে স্বাস্থ্য ও শিল্প ক্ষেত্রে বিপ্বল আনতে পারে বলে মনে করছেন তিন অধ্যাপক।
তিন জনই বাঁকুড়া উন্নয়নী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যাপনা করেন। মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডঃ সৌমেন পাল, ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডঃ জয়তি মুদি এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডক্টর সোমনাথ গাঙ্গুলী।
তাঁদের মতে এই ডিভাইস বিভিন্ন শিল্প ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, যেখানে “রিয়েল-টাইম” ভিস্কোসিটি পরিমাপ অপরিহার্য। যা কম খরচে, অত্যন্ত কম ত্রুটি রেখে বিভিন্ন তরলের ভিস্কোসিটি মেজারমেন্ট করতে পারবে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই ডিভাইসের পর্যবেক্ষণ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিস নির্ণয়ে সাহায্য করবে । রক্তের ভিস্কোসিটি গণনা করে মান অনুযায়ী কি ধরনের রোগ হতে পারে তা সম্বন্ধে একটি ধারণা দিতে পারবে এই ডিভাইস। আবার রক্ত প্রবাহ ও ক্লটিং ডিসঅর্ডার নিরীক্ষণ, ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস এবং হিমোফিলিয় জাতীয় রক্তজনিত সমস্যা চিহ্নিত করতে পারে ডিভাইসটি। এছাড়াও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (ICU) গুরুতর রোগীদের চিকিৎসার নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে এই ডিভাইস। কিডনি রোগীদের রিয়েল-টাইম ডায়ালাইসিস তরল পর্যবেক্ষণ করবে এই ডিভাইস, যা চিকিৎসার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেবে।
একই ভাবে শিল্প ক্ষেত্রেও এই ডিভাইসের প্রয়োগ প্রক্রিয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। যেমন পণ্যের গুণগত মান উন্নতকরণ, ফার্মাসিউটিক্যাল, খাদ্যপণ্য, লুব্রিক্যান্ট এবং পেইন্ট-এর মতো ক্ষেত্রে মান নিশ্চিত করতে পারবে এই ডিভাইস। এতে পরিচালন ব্যয় যেমন হ্রাস পাবে তেমনি স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উপাদান অপচয় ও বিদ্যুৎ খরচ কমবে।
বাঁকুড়াবাসীর অ্যাকাডেমিক, শিল্প, বিজ্ঞান সহ একাধিক ক্ষেত্রে অ্যাচিভমেন্ট রয়েছে। এবার সেই মুকুটে আরও এক নতুন পালক যোগ হল।





