eaibanglai
Homeএই বাংলায়এনসিসি-র উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ হলো গুসকরা মহাবিদ্যালয়ে

এনসিসি-র উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ হলো গুসকরা মহাবিদ্যালয়ে

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- দেশের যুব সমাজকে সুশৃঙ্খল ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য সৃষ্ট ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস বা এনসিসি দেখতে দেখতে ৭৫ বছরে পদার্পণ করল। এই প্লাটিনাম বছরকে স্মরণীয় করে তোলার জন্য গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের এনসিসি (৫০/৬) ইউনিটের পক্ষ থেকে ৩১ শে জুলাই ফুটবল ময়দানের চারপাশে শাল, সেগুন, মেহগনি বৃক্ষ এবং ত‍ৎসহ আম, পেয়ারা প্রভৃতি ফলের গাছ সহ ১০১ টি বৃক্ষরোপণ করা হয়। জানা যাচ্ছে ২৫ শে জুলাই থেকে ২৫ শে আগষ্ট পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এনসিসি এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করবে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ক্যাডেটদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ দেখা যায়।

বৃক্ষরোপণের সময় উপস্থিত ছিলেন শান্তিনিকেতন (৫০/৬) ইউনিটের সুবেদার রামেশ্বর প্রসাদ, গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের প্রাতঃ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রঞ্জন পাল, ক্যাডেট শুভাশিষ, দেবাশিষ, সুব্রত, অর্চনা, রিয়া, মলি সহ অন্যান্যরা এবং অধ্যাপক শিশির ঘোষ।

প্রসঙ্গত এনসিসি হলো একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যারা উচ্চমাধ্যমিক, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যাডেটদের নিয়োগ করে। ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের পর এনসিসি প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হলেও পরে আবার স্বেচ্ছামূলক করা হয়। ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় এনসিসি ক্যাডেটরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয় সমাজসেবামূলক কাজেও তাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। এবার হয়তো এদের হাত ধরেই এদেশে সবুজায়ন ঘটবে।

সুবেদার রামেশ্বর প্রসাদ বললেন- আমাদের লক্ষ্য ক্যাডেটদের সুশৃঙ্খল ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গে সমাজের প্রতি তাদের যে একটা দায়বদ্ধতা আছে সেদিকেও নজর দেওয়া। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে তারা তাদের সেই দায়বদ্ধতা প্রমাণ করল।

অন্যদিকে অধ্যাপক শিশির ঘোষ বললেন – বিশ্ব উষ্ণায়নের হাত থেকে আমাদের প্রিয় পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই বৃক্ষরোপণ করতে হবে। একইসঙ্গে সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে। আমার স্থির বিশ্বাস এক্ষেত্রে আমাদের এই ছেলেমেয়েরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে এবং বৃক্ষরোপণ সার্থক রূপ পাবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments