সন্তোষ কুমার মণ্ডব,আসানসোলঃ– এবার কয়াল চুরিতে নাম জড়াল এক তৃণমূল নেতার। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে ইসিএল, থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বলেও জানা যাচ্ছে।
ইসিএলের তরফে আসানসোলের জামুড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগে জানানো হয়েছে ইসিএলের জেকে নগর কোলিয়ারিতে গত ৩০ নভেম্বর রাতে দ্বিতীয় শিফটে সময় ( আর) এমএস সেন্ট্রাল সাইডিংয়ের ভেতরে জোর করে ট্রাক ঢুকিয়ে প্রায় ৩০ টন কয়লা চুরির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রানিগঞ্জ ব্লকের জেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য কালীচরণ বাউরির নেতৃত্বে জোড় করে সাইডিংয়ে ট্রাক ঢুকিয়ে পেলোডার দিয়ে কয়াল তুলে চম্পট দেয় কয়েকজন। পরে ট্রাকটিকে কাছাকাছি এলাকায় পাওয়া যায়। অভিযোগ পেয়ে জামুড়িয়া থানার পুলিশ ওই ট্রাকটি আটক করে এবং চালককে গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে রবিবার রাতে ওই সাইডিংয়ে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষী ও পেলোডারের দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে জামুড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ইসিএলের জেকে নগর গ্রুপ অফ মাইন্সের এজেন্ট মনোজ কুমার। এই ৮ জনের মধ্যে তৃণমূল নেতা কালীচরণ বাউড়ির নামও আছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সম্প্রতি নবান্নে বৈঠক করে কয়লা, লোহা, বালি পাচার সহ নানা দুর্নীতির নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও করেন তিনি। এরপরই তৎপরতা শুরু করে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে শুরু হয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান। দুই শিল্পাঞ্চল থেকে গ্রেফতার হন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে দুর্গাপুরের দুই তৃণমূল নেতাকেও লোহা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়। এবার কয়লা চুরির অভিযোগে এক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় রীতিমতো অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই প্রসঙ্গে, সোমবার তৃণমূলের রানিগঞ্জের ব্লক সভাপতি দেবনারায়ন দাস জানান, সমস্ত ঘটনায় দলের উচ্চ মহল নজর রাখছে। আইন আইনের পথেই চলবে। কালীচরণ দোষী সাব্যস্ত হলে দল যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে দল কখনোই প্রশ্রয় দেয় না। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের পাশে দল কখনো দাঁড়াবে না।