নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলডিহায় কুনুর নদীর পাড়ে তৈরি হতে চলেছে বৈদ্যুতিক শ্মশান। শনিবার এই কাজের সূচনা করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং এডিডিএর চেয়ারম্যান কবি দত্ত।
মন্ত্রী জানান, শ্মশানটি তৈরিতে ব্যয় হবে ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। দু’বছরের মধ্যে শেষ হবে কাজ। দাহ কার্যে ব্যবহৃত হবে পরিবেশ বান্ধব চুল্লি। শ্মশানটি তৈরি হলে দুর্গাপুরের পাশাপাশি বীরভূম ও বাঁকুড়ার মানুষও উপকৃত হবেন। পাশাপাশি এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানও হবে।
আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবে দত্ত বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছিলাম বৈদ্যুতিক চুল্লি করার জন্য। তারই কাজ শুরু হলো। পরিবেশবান্ধব এই শ্মশানে দূষণ অনেকটাই কমবে।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রবোধ মুখোপাধ্যায় বলেন,”করোনা পরিস্থিতির সময় চরম সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল এলাকার মানুষদের। তখনই আমরা রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের কাছে বৈদ্যুতিক শ্মশানের দাবি করেছিলাম। আজ কাজের সূচনা হওয়ায় আমরা খুশি।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ও চেয়ারম্যানের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, এসবিএসটিসসির চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রাজেন্দ্র প্রসাদ মন্ডল, প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দীপঙ্কর লাহা, কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নব কুমার সামন্ত সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি যুক্ত শ্মশানের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে শ্মশান তৈরির কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী।





