সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ- আজ ১৪ এপ্রিল শুক্রবার,আজ চড়ক পুজো। গাজনের পরের দিনই হয় চড়ক পুজো। চলুন আজ জেনে নিই এই চড়ক পুজোর উদ্ভব কীভাবে হয়েছে? প্রচলিত মত অনুযায়ী, রাজা সুন্দরানন্দ ঠাকুর ১৪৮৫ সালে চড়ক পুজোর প্রচলন করেন। রাজ পরিবারের লোকজন এই পুজোর সূত্রপাত করলেও এটি হিন্দু সমাজের একটি লোকসংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই পুজোর সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এই পুজোয় কোন ব্রাহ্মণ তো লাগেই না বরং এই পুজোর সন্ন্যাসীরা প্রত্যেকেই হিন্দু ধর্মের তথাকথিত নিচু জাতির লোক।
চড়ক পূজার আগের দিন চড়ক গাছকে ভাল করে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে, জলভরা একটি পাত্রে শিবলিঙ্গ রেখে দেওয়া হয়,এটি ‘বুড়োশিব’ নামে পরিচিত। পতিত ব্রাহ্মণরা এই পুজো করেন।
এরপর চড়কগাছে সন্ন্যাসীদের চাকার সঙ্গে বেঁধে দ্রুতবেগে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় ও তাদের পিঠে, হাতে, পায়ে, শরীরের অন্যান্য অঙ্গে বাণ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও চড়ক পুজোর সন্ন্যাসীরা জ্বলন্ত অঙ্গারের ওপর হাঁটা, কাটা জাতীয় জিনিসের ওপর হাটা ইত্যাদি শারীরিক যন্ত্রণাদায়ক ও কষ্টদায়ক কাজ করে থাকেন। প্রচলিত মত অনুযায়ী নিজের দেহে বিভিন্ন রকম ধারালো জিনিস ফুটিয়ে কষ্ট দেওয়া থেকে শুরু করে এইসব দৈহিক কষ্ট যন্ত্রণা জাত এই পুজো দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। তারকেশ্বরের মতো যে কোনো শিব ক্ষেত্রে এই চড়ক মেলায় ভিড় দেখা যায়।