সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- ব্যান্ডেলের লাহিড়ী বাবার আশ্রমে যদি যান তাহলে সর্ব ধর্ম সমন্বয় দেখতে পাবেন কিন্তু এর বাইরে আরো যে একটি জিনিস দেখতে পাবেন তা হলো আমাদের সনাতন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রকাশ। হ্যাঁ বন্ধুরা ধর্ম তো তাই যা আমরা ধারণ করি আর সনাতন ধর্মের এই শিক্ষা ঐতিহ্যকেই যেন তুলে ধরেছে লাহিড়ী বাবার আশ্রম।
আজকাল আপনারা দেখবেন কোনো মন্দিরে গেলেই মানুষ ভগবানকে দর্শনের আগেই সেলফি তোলেন ভগবানের সাথে, তাতে হয়তো ভগবানের কিছু যায় আসে না। কিন্তু এই যে সেলফি তোলার কালচার সেটা পিকনিক বা কোন হোটেল রেস্টুরেন্টে ভালো লাগলেও ভগবানের বিগ্রহের সাথে খুব একটা দেখতে ভালো লাগে না। একই রকম ভাবে মন্দির প্রাঙ্গণে ঢোকার সময়ও মানুষ বিভিন্ন রকমের পোশাক পরে যান, কিন্তু ভগবানের কাছে যেতে গেলে তো মাথা নামিয়ে যেতে হয়, ভগবানের কাছে যেতে হলে তো বড় সাধারন ভাবে যেতে হয়- এই যে যাওয়া এই যাওয়াটা কেমন হবে সেটাই যেন লাহিড়ী বাবার আশ্রমে গেলে বোঝা যায়।
লাহিড়ী বাবার আশ্রমের প্রধান মন্দিরে ঢুকতে গেলে কতগুলো নিয়ম পালন করতে হয় যে নিয়মগুলো পালনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মের ঐতিহ্যের প্রকাশ ঘটে।
যেমন আপনাকে যদি লাহিড়ী বাবার আশ্রমের প্রধান মন্দিরে ঢুকতে হয় তাহলে মন্দিরে ঢোকার আগে একটি জায়গায় এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে যে পুকুরের জল সেখানে জমা হয়। মন্দিরে প্রবেশের আগে এই জলে পা দিয়ে আপনাকে ঢুকতে হবে আর মহিলাদের মাথায় অবশ্যই ওড়না বা শাল রাখতে হবে, মন্দিরের ভিতরে কোনরকম ছবি তোলা যাবে না।
মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে নয় ভগবানের দেওয়া এই চোখের ক্যামেরা দিয়ে দৃশ্যবন্দী করতে হবে ভগবানের অপরূপ রূপকে আর অবশ্যই হাঁটুর উপরে থাকা কোনো বস্ত্র পড়ে মন্দিরে ঢোকা যাবে না।