সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- যে এসেছে, যে আসেনি, যে আসছে, যে আসবে সকলের প্রতি ভালোবাসা ও আশীর্বাদ রয়েছে জগজ্জননী মা সারদার । তিনি সৎ অসৎ সকলের মা, জগজ্জননী। এমন আশীর্বাণী দিয়ে গেছেন মা সারদা। তাই মায়ের জন্মস্থান জয়রামবাটি মানেই অপার শান্তির ঠিকানা। এই জয়রামবাটিতে মায়ের মাতৃমন্দির প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে গত বছর থেকেই। আজ থেকে মহা সমারোহে শুরু হল মাতৃমন্দির প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান চলবে আগামী তিন দিন ধরে। এই বিশেষ দিনে জগজ্জননী মা সারদাকে সুন্দরভাবে সাজানো হয়ছে। মাতৃমন্দির চত্বর ফুলে ফুলে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আজ সকালে মঙ্গলারতির মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। এরপর বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা জয়রামবাটি গ্রাম প্রদক্ষিণ করে। দিনভর সানাই বাদন, মায়ের কথা পাঠ, ভক্তি মূলক আলোচনা, ভক্তিগীত পরিবেশন, যাত্রাপালা সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। মাতৃমন্দিরের এই শতবর্ষ পূর্তি উৎসবের সাক্ষী হতে সকাল থেকেই বহু মানুষ ও পূন্যার্থী ভক্ত জয়রামবাটিতে উপস্থিত হয়েছেন।
১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর সারদামণির জন্ম হয়েছিল। ১৯২০ সালের ২০ জুলাই মা ইহলোক ত্যাগ করেন। তার পরে ১৯২৩ সালে অক্ষয় তৃতীয়াতে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উদ্যোগে স্বামী সারদানন্দ মহারাজ জয়রামবাটিতে মাতৃমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। সারদা মায়ের পুরনো বাড়ি, নতুন বাড়িকে অক্ষত রেখেই যে বাড়িতে মা সারদার জন্ম হয়েছিল, সেই বাড়িতেই গড়ে ওঠে মন্দির। প্রথমে গর্ভগৃহ নির্মাণ করে পটে পুজোপাঠ শুরু হয়। ৩০ বছর পরে কাশী থেকে মা সারদার মূর্তি এনে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে মাতৃ মূর্তিতে পুজো শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই মাতৃমন্দিরের আকার-আয়তন যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনই মাতৃমন্দিরের কর্মের ব্যাপ্তিও বৃদ্ধি পেতে থাকে। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি আর্ত ও দুঃস্থের সেবায় জেলা ও জেলার বাইরে দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে মাতৃমন্দির।