সংবাদদাতা, বর্ধমান :- স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও তার শ্রীলতাহানি অভিযোগে গ্রেপ্তার হলো সৎ বাবা। মঙ্গলবার ধৃতকে ১৩ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। পাশাপাশি ধৃ্তের লুঙ্গি মেডিকেল পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানা এলাকার কুমোর পাড়া গ্রামে নির্যাতিত ১৩ বছরের ছাত্রীর বাড়ি । সে শক্তিগড়ের একটি সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী । কিছুদিন আগে ওই ছাত্রীর মা গ্রামেরই মন্টু বাঘ নামে একজনকে বিয়ে করে। ফলে মা ও সৎ বাবা মন্টুর সাথে থাকতে বাধ্য হয় মেয়েটি । আদালতে নির্যাতিতা জানান কিছুদিন ধরেই তার সাথে খারাপ ধরনের আচরণ করছিল মন্টু । তবে রবিবার দুপুরে তার মা যখন মাঠের কাজে ব্যস্ত ছিল, তখন মাঠ ছেড়ে ঘরে আসে মন্টু। তখন বাড়িতে একাই ছিল মেয়েটি। এসে তাকে জাপটে ধরে ঘরের ভেতরে টেনে নিয়ে যায় ও তার জামা কাপড় খোলার চেষ্টা করে। সেই সময় ধস্তাধস্তিতে ছিটকে পালিয়ে বাঁচে নির্যাতিতা। তবে তাকে ফের ঘরে টেনে এনে হুমকি দেয় মন্টু , বলে এ কথা কাউকে জানালে তাকে খুন করে ফেলা হবে। দুদিন চুপ থাকার পর , সোমবার প্রতিবেশীদের সব কথা বলে কাদতে থাকে মেয়েটি । প্রতিবেশীরা তাকে দ্রুত মেমারি থানায় নিয়ে যায় । সোমবার মাঝরাতে ঘর থেকেই মন্টুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির ও পস্ক আইনের ৮ এবং ১২ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে । মঙ্গলবার পস্ক আদালতের বিচারক সৈয়দ নিজামমদ্দিন আজাদ নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন বর্ধমান কোর্টের মুখ্য বিচারপতিকে।