সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া : কয়েকমাস আগেই শেষ হয়েছে লোকসভা ভোট। আর এই ভোটে ব্যাপক পরাজয়ের পর ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে ঘর গোছাতে শুরু করে দিল শাসক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে যখন ঘাস ফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে চলছে যোগদানের হিড়িক, ঠিক সেই সময় বিজেপি-সিপিএম থেকে প্রায় ৩৫০পরিবারকে তৃণমূলে এনে রিতিমত মাষ্টারস্ট্রোক দিলেন দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। আর এতেই চিন্তায় কপালে চোখ উঠেছে বিজেপি নেতৃত্বের। শুক্রবার জয়পুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সোনামুখীর পাঁচালের ইছারিয়া-জগদ্দলার প্রায় ৩৫০ পরিবার বিজেপি-সিপিএম ছেড়ে তাদের দলে যোগ দিয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচাল অঞ্চল বিজেপি নেতা দয়াময় রায়ও রয়েছেন বলে তৃণমূলের তরফে এমটাই দাবী করা হয়েছে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা দয়াময় রায় এক সময় সিপিএমের পার্টি সদস্য ছিলেন দাবী করে বলেন, এক সময় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কারণে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিই। তবে বর্তমানে ভোট মিটতেই বিজেপির হিংসা যে ভাবে বেড়েছে তাতে বিজেপির প্রতি আস্তা হাড়িয়ে এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সভাপতি শ্যামল সাঁতরার অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে আজ আমরা তৃণমূলে যোগ দিলাম। তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করেন। তাই মানুষ তাকে মন থেকেই ভালো বাসেন। এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রায় প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। বর্তমান সময়ে বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে মানুষ দলে দলে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বলেও দাবী করেন তিনি।
৩৫০ পরিবারকে তৃণমূলে এনে মাস্টারস্ট্রোক বিষ্ণুপুর জেলার সভাপতি ও মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা
RELATED ARTICLES