সংবাদদাতা, পুরুলিয়াঃ- জেলার জন্মদিন। তাই, হৈ চৈ গোটা পুরুলিয়া জুড়ে। জন্মদিন পালন হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও। নেওয়া হচ্ছে এক গুচ্ছ পরিকল্পনাও, যাতে আগামী প্রজন্ম “ভাষার জন্য লড়াই” র এই অধ্যায়টিকেও স্মরন করে।
আসলে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে, ১৮৩৩ সালে ব্রিটিশ সরকার তার ১৩ তম নিয়মাবলী মারফৎ মানবাজার কে জেলা সদর করে মানভূম জেলা গঠন করে। জেলাটি আকার আয়তন ছিল বেশ বড়সড়। বর্ধমান, বাঁকুড়ার কিছু অংশ ছিল মানভূমের অধীনে। পাশাপাশি তদানিন্তন বিহারের ধানবাদ, ধলভূম আর সরাইকেলা জেলাও ছিল এর আওতায়। পরে, ১৮৩৮ সালে মানভূম জেলার সদর মানবাজার থেকে পুরুলিয়া স্থানান্তরিত হয়।
আবার স্বাধীনতার পর, ১৯৫৬ সালে মানভূম জেলাকে ফের ভাগ করা হয়, রাজ্যের ভাষাভিত্তিক পরিচিতি আইন মোতাবেক। যেহেতু জেলার বেশির ভাগ মানুষই বাংলাভাষী, তাই সাবেক বিহার থেকে ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গেঁ অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই সুবাদে ১ নভেম্বর পুরুলিয়ার জন্মদিন। এবছর পালন হচ্ছে জেলার ৬৪ তম জন্মদিবস।
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় ব্যানারজী জানান, “ভাষা সেনানীদের সম্মান জানাতে ১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ‘স্মারক স্তম্ভ তৈরী করা হচ্ছে জেলার লাকড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। হবে একটি ইকো – পার্কও”