নিজস্ব সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকের কড়রা গ্রামের মুখোপাধ্যায় পরিবারের দূর্গাপূজা । প্রায় ৪০০ বছরেরও প্রাচীন এই পুজো আশে পাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। জানা যায় মুখোপাধ্যায় পরিবারের এক পূর্বপুরুষকে স্বপ্নাদেশে এই পুজো করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মা দুর্গা স্বয়ং। সেই সময় থেকে মুখোপাধ্যায় পরিবারে শুরু হয় দুর্গাপুজো যা আজও চলে আসছে।
এই পুজোর বিশেষত্ব হল একটি খাঁড়া। যেটি মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে গন্ধেশ্বরী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় পেয়েছিলেন মুখোপাধ্যায় পরিবারের পূর্বপুরুষ যিনি এই দুর্গাপুজো শুরু করেন। বর্তমানে প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো সেই প্রচীন খাঁড়াটিও পূজিত হয় মা দুর্গার সঙ্গে। এছাড়াও এই পুজোর অন্যতন বিশেষত্ব হল অষ্ঠমীর দিনও মাকে অন্নভোগ দেওয়া হয়। তারপর লুচি ভোগ দেওয়া হয় ৷ পুজোর তিনদিন, প্রতিদিন ৫ কেজি চালের অন্নভোগ নিবেদন করা হয় মাকে। তিন দিনই ছাগ বলির প্রথা ছিল যা ২০১৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে শুধু ৫ টি আখ বলি দেওয়া হয় অষ্টমীর সন্ধিক্ষনে ৷ পরিবার সূত্রে জানা যায় আগে পুজোর তিন দিনই নরনারায়ণ সেবা হত ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু নবমীর দিনই এই সেবা করা হয়।
আগের থেকে জৌলুষ কিছুটা কমলেও প্রচীন রীতিনীতি মেনে ভক্তি নিষ্ঠার সঙ্গে আজও মুখোপাধ্যায় পরিবারে পূজিতা হচ্ছেন মা। বর্তমানে সেবাইত শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায় ও স্বর্গীয় দূর্গাদাস মুখোপাধ্যায়ের পরিবার বর্গ পূজাটি পরিচালনা করছেন।