সঙ্গীতা চৌধুরী,বহরমপুরঃ- বহরমপুরের জাগ্রত দুটি ভৈরব পুজোর মধ্যে একটি হলো, খাগড়ার ভৈরব তলার ভৈরব বাবা, আরেকটি হলো সৈদাবাদের নিম বাবার পুজো। সৈদাবাদের নিমতলা পাড়ার নিম বাবা খুব জাগ্রত, বাবা ভক্তদের সকল মনস্কামনা পূর্ণ করেন। তবে আপনার কোনো মনস্কামনা যদি আজ পূর্ণ হয় আপনি হয়ত ভাবলেন পরের বছর বাবার পুজোর দায়িত্ব নেবেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো এটাই যে,পরের বছর বাবার পুজো আপনি দিতেই পারবেন না, আপনাকে বাবার পুজো দিতে হবে ২০৮০ সালের পর! অবাক হচ্ছেন তো, হ্যাঁ, অন্যান্য জায়গায় কীভাবে পুজো হবে তা ভাবতে ভাবতে যেখানে কর্মকর্তাদের কাল ঘাম ছুটে যায় সেখানে নিম বাবার পুজোর যাবতীয় খরচ কোন কোন ভক্ত নেবে তা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে কারা কারি পড়ে যায়। সেই কারণে বাবার পুজোর যাবতীয় খরচ আগামী ছয় দশকের জন্য নিশ্চিত করা হয়ে গেছে। ভক্তরা এখন থেকেই বুক করে নিয়েছে কে কোন দায়িত্ব নেবে ২০৮৩ সাল পর্যন্ত।
ভৈরব পূজার যাবতীয় খরচ বহন করতে মানত করে ২০৮৩ সাল পর্যন্ত ভক্তরা নাম লিখিয়ে রেখেছেন। এই নিম বাবাকে দেখলে আপনার কিন্তু সতী বিরহে কাতর মহাদেবকে মনে পরবে না, মনে পড়বে না মহাকাল রুদ্রমূর্তি ধারণকারী, প্রচন্ড ভৈরবের কথা! এখানকার ভৈরব বাবাকে দেখলে বাঙালি গৃহকর্তার মতোই মনে হবে। এখানে বাবা ভৈরব যেন নাদুস নুদুস ভুড়ি যুক্ত বাড়ির কোন প্রবীণকর্তা।