জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মেমারিঃ- গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে পুজো, বিবাহ, জন্মদিন, অন্নপ্রাশনের মত বিভিন্ন সামাজিক বা পারিবারিক উৎসবগুলো আর নিছক উৎসবের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকছেনা। উৎসবের পাশাপাশি একাধিক জায়গায় স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির বা থ্যালাসেমিয়ার পরীক্ষার মত সচেতনতামূলক শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে মেমারিতে এই দৃশ্য দেখা গেল।
গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে পুজো, বিবাহ, জন্মদিন, অন্নপ্রাশনের মত বিভিন্ন সামাজিক বা পারিবারিক উৎসবগুলো আর নিছক উৎসবের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকছেনা। উৎসবের পাশাপাশি একাধিক জায়গায় স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির বা থ্যালাসেমিয়ার পরীক্ষার মত সচেতনতামূলক শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে মেমারিতে এই দৃশ্য দেখা গেল।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক শাখার সহযোগিতায় শিবির থেকে মোট ৪৪ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। রক্তদাতাদের মধ্যে ১০ জন ছিলেন মহিলা। সংগৃহীত রক্ত সংশ্লিষ্ট ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শিবিরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ দেখা যায়।
রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ও দুই ক্লাবের সদস্যরা।
রক্তদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আয়োজকদের পক্ষ থেকে অপূর্ব সু বললেন- প্রয়োজনের তুলনায় রক্তের যোগান কম থাকায় মুমূর্ষু রুগীর পরিবারের সদস্যদের সমস্যায় পড়তে হয়। তাই পুজোর সময় আমরা রক্তদান শিবির করার জন্য এগিয়ে এসেছি। আগামী দিনে আমাদের লক্ষ্য বছরে অন্তত তিন থেকে চারটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা।
পুজোর সময় স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার কথা শুনে পূর্ব বর্ধমান জেলা ভলান্টারী ব্লাড ডোনার্স ফোরাম এর অন্যতম সদস্য সৌগত গুপ্ত উদ্যোক্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বললেন- যতবেশি এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হবে তত সমাজের উপকার হবে।
প্রসঙ্গত সৌগত বাবু নিজে যেমন একাধিকবার রক্তদান করেছেন তেমনি তার সহযোগিতায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিত রক্তদান শিবির আয়োজিত হয়ে চলেছে।