জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কাজেও যে ছাত্রসমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে সেটা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের ২৪ শে সেপ্টেম্বর ‘জাতীয় সেবা প্রকল্প’ অর্থাৎ এনএসএস গড়ে ওঠে। এর মূল নীতি ছিল ‘নট মি, বাট ইউ। উদ্দেশ্যকে বাস্তবে পরিণত করার লক্ষ্যে গুসকরা মহাবিদ্যালয়েও গড়ে ওঠে এনএসএস এর ইউনিট। গড়ে ওঠার পর থেকেই এই ইউনিটটি প্রায় শুরু থেকেই বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
মারণঘাতী ডেঙ্গুর আক্রমণে ইতিমধ্যে রাজ্যের একাধিক ব্যক্তির অকালে মৃত্যু ঘটেছে। অনেকেই আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। অথচ একটু সচেতন হলেই সহজেই এই রোগের হাত থেকে বাঁচা যায়।
ডেঙ্গুর বাহক হলো মশা এবং মশার আদর্শ উৎপত্তিস্থল হলো নোংরা জমা জল। গৃহস্থ বাড়ির আশেপাশে জমা জল সরিয়ে দিলে এবং শোওয়ার সময় মশারি ব্যবহার করলে সহজেই ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচা যায়। অথচ এখানেই সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা যায়।
গুসকরা শহরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২৫ শে নভেম্বর ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক মনেশ্বর সরকারের নেতৃত্বে গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের এনএসএস ইউনিট- ১ ও ২ এর স্বেচ্ছাসেবকদের একটি অভিযান মিছিল বের হয়। হাতে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক প্লাকার্ড নিয়ে ইউনিটের সদস্যরা গুসকরা ব্লক অফিস ও পৌরসভার আশেপাশে নোংরা জায়গায় ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করে ও শোওয়ার সময় মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়।
ভারপ্রাপ্ত মনেশ্বর সরকার ও মাণিক বিশ্বাসের নেতৃত্বে এই অভিযান মিছিলে উপস্থিত ছিল সেখ বাদশা, শুভদীপ দাস, তিতলি চান্দেরী, চুরোমন হেমরম, বন্দনা বারুই, সুকান্ত ঘোষ, সুমন কর্মকার, সঞ্চিতা মার্ডি, আশা ঘোষ প্রমুখ।
মনেশ্বর বাবু বললেন – মাননীয় অধ্যক্ষের পরামর্শে আমরা বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত এই ধরনের সচেতনতামূলক অভিযান করে থাকি। আমাদের লক্ষ্য একটা পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গঠন করা।
অন্যদিকে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বললেন- পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এই স্বচ্ছতা অভিযান একটি ধারাবাহিক কর্মসূচি। আমাদের মহাবিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক সহ ছাত্রছাত্রীরা যথেষ্ট সচেতন আছে এবং আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছে।