সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:– বর্তমানে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন যাপনে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনতে জৈব এবং দেশীয় খাবার বেছে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফলে জৈব ও দেশীয় প্রজাতির চাষাবাদের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন মানুষজন। কারণ এই দেশীয় প্রজাতির শাক সবজি থেকে ধান শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক থেকে বিজ্ঞানীরা। ফলে বাজারে দেশীয় ধানের চাহিদা রয়েছে যথেষ্ট। সেই কথা মাথায় রেখেই বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের প্রায় ১৭ টি গ্রামে ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ কমিউনিকেশন অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টারের তত্ত্বাবধানে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে শুরু হয়েছে জৈব ধান বীজের চাষ। যেগুলির মধ্যে রয়েছে কেরালা সুন্দরী, লাল বাদশাহভোগ, মুগাই এবং ভূতমুড়ি। আর এই চাষাবাদে কোনো রাসায়নিক সার নয় বরং ব্যাবহার করা হচ্ছে জৈব সার। ইউরিয়ার বদলে ব্যাবহার করা হচ্ছে গোমূত্র। এছাড়া বিশেষ প্রয়োজন হচ্ছে না ওষুধ বা কীটনাশকের। আবার এই চাষে তুলনামূলকভাবে খাটনিও কম। ফলন পাওয়া যাচ্ছে প্রায় দ্বিগুনের কাছাকাছি। চলতি মরশুমে ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে ধান কাটার কাজ।
বর্তমানে এই চাষের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ছাতনা ব্লকের প্রায় দেড় হাজার কৃষক পরিবার। গ্রামের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জীবন জীবিকার মান উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে। অন্যদিকে দেশীয় ধান চাষ করে একটি রোগমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়ার পথ দেখাচ্ছেন লাল মাটি বাঁকুড়ার কৃষকরা।