জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,আউসগ্রামঃ- বনদপ্তরের অর্থবহ ভূমিকা ও লাগাতর প্রচারের ফলে ধীরে ধীরে কি জঙ্গল অধ্যুষিত আউসগ্রামবাসীর মনে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ছে? সাপ দেখলেই মেরে ফেলাটাই যেখানে দস্তুর ছিল সেখানে গত কয়েক মাসের ঘটনা প্রবাহ অন্য ইঙ্গিত দেয়। মাঝে মাঝে বিচ্ছিন্নভাবে দু’একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও যেহারে সাপ উদ্ধার হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সাপ থেকে শুরু করে যেকোনো বন্যপ্রাণী রক্ষা করা যে খুবই জরুরি সেটা এলাকাবাসী উপলব্ধি করতে পারছে।
জঙ্গল ঘেরা আউসগ্রামের ওয়ারিশপুর গ্রামে মাঝে মাঝে শিয়াল, সাপ সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। ৮ ই ডিসেম্বর বৈকাল ৩ টা নাগাদ গ্রামবাসীদের একাংশ একটি ৭-৮ ফুট লম্বা বিশালাকৃতির পাইথন সাপ দেখতে পায়। আতঙ্কিত না হয়ে তারা সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বনদপ্তরে খবর দেয় এবং সাপটির অবস্থান পর্যবেক্ষণ করতে থাকে।
খবর পেয়েই আউসগ্রাম বনদপ্তর থেকে দু’জন অভিজ্ঞ ‘স্নেক ক্যাচার’ ঘটনাস্থলে দ্রুত গিয়ে পৌঁছায় এবং সাপটি উদ্ধার করে অফিসে নিয়ে আসে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রেখে সাপটি গভীর জঙ্গলে নিরাপদ আশ্রয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সাপটি উদ্ধার করার সময় উৎসুক গ্রামবাসীদের ভিড় হলেও তারা উদ্ধারকারীদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
দত্তপুকুরের ‘প্রকৃতিকন্যা’ অদিতি গায়েন বললেন – বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি খুবই ভাল লক্ষণ।
গ্রামবাসীদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে আউসগ্রাম বনদপ্তরের আধিকারিক হেমাংশু বাবু বললেন – বন্যপ্রাণী সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি দেখে খুব ভাল লাগছে। এলাকাবাসীর কাছে তার আবেদন সাপ বা অন্যান্য বন্যপ্রাণী দেখতে পেলে তাদের ক্ষতি না করে আমাদের দপ্তরে খবর দিলে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।











