নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– যাচ্ছিলেন অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সৌজন্য-সাক্ষাৎ করতে। পথে দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারে রাজ্যপালের কনভয় হঠাৎ ঘুরে গেল। সিটিসেন্টারের এডিডিএ বিল্ডিংয়ের (আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ) সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে রাজ্যপালের কনভয় এবং গাড়ি থেকে নেমে পড়ে রাজ্যপাল সটান চলে যান সেখানের ফলের দোকানগুলিতে। কথা বলেন ফল বিক্রেতাদের সঙ্গে পাশাপাশি চায়ের দোকান থেকে চা কিনেও খান। রবিবার বিকেলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আচমকা এই পরিদর্শন নিয়ে এখন শহরে চলছে চর্চা।
প্রসঙ্গত গত রবিবার ধানবাদ থেকে অন্ডাল বিমানবন্দর হয়ে দিল্লি ফিরছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তাঁর সঙ্গেই সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু হঠাৎ তিনি দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারের এডিডিএ ভবনের সামনে পৌঁছে যান। আচমকা কার্যত এলাকার দখল নেন রাজ্যপালের নিরাপত্তারক্ষীরা। গাড়ি থেকে নেমে আসেন রাজ্যপাল। আশপাশের সবাই তখন রজ্যপালকে দেখে বিস্মিত হয়ে যান। এডিডিএ ভবনের সামনে রাস্তার ধারে কয়েক জন ফল বিক্রেতা নিয়মিত ফল বিক্রি করেন। রয়েছে একাধিক চায়ের দোকানও। রাজ্যপাল গাড়ি থেকে নেমে সটান ওই ফলের দোকানে চলে যান ও ফল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন,তাদের খোঁজখবর নেন। ফল বিক্রেতা সঞ্জীব দাস জানান রাজ্যপাল তার কাছে জানতে চান কত দিন ধরে দোকান চালাচ্ছেন, ফলের বাজারদর কত, ফল কোথা থেকে আসে, দৈনিক রোজগার কেমন, বাড়িতে কে কে আছেন ইত্যাদি। খোঁজখবর নেওয়ার পর তাকে মিষ্টিও খাওয়ান। এরপর পাশের ফলের দোকানগুলিতেও খোঁজখবর নেন রাজ্যপাল ও চলে যান চায়ের দোকানে। চা বিক্রেতা অজিত দাস জানান রাজ্যপাল তার দোকানে চিনি দেওয়া চা খান ও চায়ের প্রশংসা করে একশো টাকা হাতে ধরিয়ে দেন। এভাবে মিনিট দশেক কাটানোর পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ফের রওনা দেন অন্ডাল বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান জেলা শাসক ও মহকুমা শাসক।
এদিকে ওই ঘটনার পর সোমবার দিনভর শহরে আলোচনার বিষবস্তু ছিল রাজ্যপালের ওই ঝটতি সফর। অন্যদিকে হঠাৎ রাজ্যপাল দর্শনে ও তার সঙ্গে সাক্ষাতে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত সিটিসেন্টারের ফল ও চা বিক্রেতারা।