জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ- গত ১৭ ই ডিসেম্বর দুঃস্থদের জন্য শীতের পোশাক সংগ্রহের উদ্দেশ্যে উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা মানবিক’-এর দুই সদস্য পিণ্টু হালদার ও ‘প্রকৃতি কন্যা’ অদিতি গায়েন কয়েকজন সহৃদয় ব্যক্তিদের কাছে যায়। বন্যপ্রাণী বিশেষ করে সাপের প্রতি তাদের একটা আলাদা টান আছে। তাই যেখানেই তারা যায় সাপ ধরার বাঁকানো ‘স্টিক’ তাদের সঙ্গে থাকে। ফেরার পথে তাদের কাছে খবর আসে কাশারিপাড়ায় ছোট্ট গাছের জঙ্গলে একটি প্রায় ফুট চারেক লম্বা বিশালাকার গোখরো সাপ দেখা গেছে। মুহূর্তের মধ্যে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। সেখানে তারা যাওয়ার পর আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা তাদের সাপটির অবস্থান নির্দেশ করে।
অদিতির সহযোগিতায় পিণ্টু হালদার সাবধানতার সঙ্গে সাপটি উদ্ধার করে একটি প্লাস্টিকের জারে ভরে নেয়। সাপটি মেরে না ফেলার জন্য তারা গ্রামবাসীদের ধন্যবাদ জানায় এবং অদিতি সাপ সম্পর্কে অযথা ভয় ও কুসংস্কার সম্পর্কে তাদের সচেতন করে। পরে সাপটি তারা বারাসত বনদপ্তরের হাতে তুলে দেয়। সাপটি উদ্ধার করার দৃশ্যটি দূর থেকে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা পর্যবেক্ষণ করে।
বারাসত বনদপ্তর তাদের সাহসিকতার প্রশংসা করে ও সমস্ত রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।
প্রসঙ্গত এর আগে পিণ্টু ও অদিতি বেশ কিছু বিষাক্ত ও নির্বিষ সাপ উদ্ধার করে সেগুলি গভীর জঙ্গলের নিরাপদ আশ্রয়ে ছেড়ে দিয়েছে। তাছাড়া তারা এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারও করে চলেছে।
সাপ উদ্ধারের খবর শুনে দু’জনের ভূয়সী প্রশংসা করে আউসগ্রামের বনদপ্তরের আধিকারিক হিমাংশু বাবু বললেন – খুবই ভাল খবর। বন্যপ্রাণী সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে এর থেকে বড় খবর আর কি হতে পারে!
কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী অদিতির বক্তব্য – প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে অবশ্যই প্রত্যেককে বাঁচতে হবে। Live & let live এর সূত্র মেনে চলতেই হবে।