জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরারঃ– নিয়মিত পাওয়া যাক বা নাই যাক, রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি চালু রাখতে হলে অবশ্যই বায়োমেট্রিক লিঙ্ক করাতে হবে – এটাই সরকারি নির্দেশ। এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে আবার এক দফা হয়রানির আশঙ্কায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত সেইসব প্রবীণ মানুষরা যাদের নিজের নামে গ্যাসের সংযোগ আছে।
তাদের বক্তব্য- গ্যাস সংযোগ নেওয়ার জন্য আধার কার্ড জমা দিতে হয়েছে। পরে আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নাম্বার লিঙ্ক করা হয়েছে। আবার নতুন করে এটা করার প্রয়োজনীয়তা কোথায়? তাছাড়া প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, র্যাশন কার্ড, গ্যাসের সংযোগ এবং মোবাইল নাম্বার – সব পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত।
সম্প্রতি সরকারি নির্দেশ মেনে আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নাম্বার লিঙ্ক করার সময় বিভিন্ন পোস্ট অফিসে দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন। সরকারি কর্মচারীদের তৈরি করা আধার কার্ডে থাকা বিভিন্ন ভুল সংশোধন করার জন্য একশ্রেণির মানুষকে নিয়মিত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। কাজকর্ম ফেলে রেখে ছুটতে হয়েছে পোস্ট অফিস অথবা ব্যাংকে। অর্থের বিনিময়ে মানুষ সেই কাজটি করতে বাধ্য হয়েছে। প্যান কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নাম্বার লিঙ্ক করতে গিয়েও মানুষকে অর্থ খরচ করতে হয়েছে। আশঙ্কা সরকার কি অন্যভাবে মানুষের কাছে অর্থ আদায়ের ফন্দি করছে!
গুসকরার একটি গ্যাস অফিসে গিয়ে দেখা গেল লম্বা লাইন। সেখানে বহু প্রবীণ মানুষের ভিড় দেখা গেছে। কেউ কেউ আবার টোটো থেকে তখনও নামতে পারেননি। অসুস্থ শরীর নিয়ে অনেকে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
জনৈক প্রবীণ ব্যক্তি অসীম ঘোষ বললেন – অপ্রয়োজনীয় এক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। দূর থেকে এসেছি। এসে শুনব লিঙ্ক নাই, সার্ভার ডাউন। যেমন ব্যাংকে গিয়ে শুনতে হয়। সরকারের নীতি নির্ধারকরা সম্ভবত মস্তিষ্ক বিকৃত।