সংবাদদাতা,আসানসোল ও বাঁকুড়াঃ– শীতের মরশুম,তার উপর আজ আবার বড়দিন। ছুটির আমেজে বাঙালি ঘুরতে যাবে না তা কি হয়। তাই শীতের রোদ গায়ে মেখে ছুটি উপভোগ করতে বেরিয়ে পড়েছেন পর্যটকরা। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের ভিড়। বাদ পড়েনি আসানসোলের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র মাইথন ও ‘বাঁকুড়ার রাণী’ মুকুটমনিপুর। চলছে বন্ধু বান্ধব আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে পিকনিকের পালা। আবার অনেকে এসেছেন শীতের সকালে আপনজনেদের সঙ্গে পর্যটনস্থলের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করে ছুটি কাটাতে।
এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই এমনকি পাশ্ববর্তী রাজ্য মাইথন থেকেও পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছেন আসানসোলের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র মাইথনে। পর্যটকদের সবুজ প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশের মাঝে থাকা মাইথন জলাধারে নৌকাবিহারে মেতে ওঠতে দেখা যায়। বলতে গেলে পর্যটকদের আগমনে এদিন জমজমাট হয়ে ওঠে মাইথন পর্যটন কেন্দ্র। একইসাথে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসনের রয়েছে কড়া নজরদারি। পিকনিক স্পটে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ও লাইট। জায়গায় জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
অন্যদিকে ছুটির এই মরশুমে বাঙালি পর্যটকদের একটা বড় অংশের অন্যতম ‘ডেস্টিনেশান’ বাঁকুড়ার রানী মুকুটমণিপুর। এদিন সকাল থেকেই পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য পর্যটক হাজির হয়েছেন মুকুটমণিপুরে। কেউ এসেছেন পিকনিক করতে, তো আবার কেউ এসেছেন বড়দিনের নিখাদ আনন্দ উপভোগ করতে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি পর্যটকদের বাড়তি পাওনা থাকে জলাধারের পাশে বসা এক মেলা, যেখানে ব্যবসায়ীরা হরেক রকম রঙিন জিনিসের সম্ভার নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত এখানকার নদী, জল, টিলা আর জঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক ছুটে আসেন। আর বছরের বিশেষ দিন গুলিতে তো কথাই নেই। এখানে এসে জলাধারে নৌকাভ্রমণ না করে ফিরে যাবেন- এমন বেরসিক মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। ‘বাঁকুড়ার রাণী’ মুকুটমনিপুরে এসে বেজায় খুশী পর্যটকেরা। মুশাফিরানা, ডিয়ার পার্ক থেকে পরেশনাথ শিব মন্দির, বারোঘুটু পাহাড় ঘুরে সোনাঝুরি ইকো পার্কে খানিক বিশ্রাম করে নিচ্ছেন অনেকে। সবমিলিয়ে বড়দিনের সকাল থেকে আনন্দোৎসবে মেতেছে মুকুটমনিপুর।
অন্যদিকে আগত অতিথিদের যাতে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছে খাতড়া মহকুমা প্রশাসন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।