সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- সময়ের সাথে সাথে বসবাসের ঘরবাড়িগুলি ক্রমশ বসে যেতে থাকে মাটির স্তরে ফলে বর্ষাকালীন অবস্থায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বসবাসের অযোগ্য হয়ে ওঠে সাধের বাসস্থান । এই কারনে কখনো কখনো এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘরবাড়ি স্থানান্তরিত করবার পরিস্থিতি হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে কপালে বিরাট চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়, কিভাবে ঘরবাড়ি গুলিকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে বা জলমগ্ন যাতে না হয়ে পড়ে তার থেকে কিভাবে রেহাই পাওয়া যাবে ? বড় সমস্যা যেটা দাঁড়ায় বহু ব্যয় করে মনের মতন বাড়ি বানাবার পরেও জল ঢুকে সমস্যার মুখে পড়তে হতে হয় । সখের বানানো ঘরবাড়ি ভেঙে আবার নতুন করে বানাতে যা খরচ পরে সেই খরচে অন্যত্র আরো একটি বাড়িঘর বানিয়ে নেয়া হয়তো যায় কিন্তু সাধ থাকলেও সবার পক্ষে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
এই সমস্যার মুস্কিল আসন করতে এগিয়ে এসেছে মুর্শিদাবাদ জেলার লাভপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। প্রযুক্তির সহায়তায় অসম্ভবকে সম্ভব করে মানুষের মুস্কিল আসন করে দেখাচ্ছে এই সংস্থা। এইরকম দুরাবস্থার মধ্যেই ছিলেন দুর্গাপুরের রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা সম্পদ দাস, হাই ড্রেনের পাশে বাড়ি হবার দরুন প্রতি বৎসরই বর্ষা কালে জল ঢুকে সমস্যার সম্মুখীন হতেন তিনি। সেই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে লাভপুরের ওই কোম্পানি সাথে যোগাযোগ করেন সম্পদ বাবু , লাভপুরের সেই কোম্পানির ম্যানেজার রাজেশ বাবু জানান বাড়ি মালিকের সাথে কোর্ট এগ্রিমেন্ট করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হাইড্রোলিক জ্যাকের সাহায্যে বাড়ির কোনরূপ ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া বাড়িটিকে একমিটার অর্থাৎ প্রায় তিন ফুট উঁচু করা হচ্ছে। ফলে অন্যান্য বৎসর বন্যার সময় জলমগ্ন হওয়ার যে যন্ত্রনা তার হাত থেকে রেহাই পাবে বাড়ির বাসিন্দারা। পাশাপাশি ভাবে বাড়িটির ভীত আরো মজবুত হবে। নতুন বাড়ি বানাবার যা খরচ হয় তার থেকে প্রায় ৭৫ শতাংশ কমেই এটি সম্ভব হচ্ছে বলেও জানানো হয় সংস্থার পক্ষ থেকে ।