জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জীঃ- সাধ ও সাধ্যের মধ্যে দুস্তর ব্যবধান কমে আসে নিজেদের আন্তরিকতা, দৃঢ় সংকল্প ও সহৃদয় মানুষদের সহযোগিতার জন্যে। আর তাকেই পাথেয় করে গত কয়েক বছর ধরে এলাকার দুস্থদের পাশে দাঁড়াচ্ছে হুগলির হরিপালের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘এসো বন্ধু হই’। ওরা হরিপালের আশেপাশের এলাকার বস্তি এলাকার দুস্থ বাসিন্দা। প্রকৃতির হাত থেকে বাঁচার জন্যে মাথার উপর পোক্ত ছাদ নাই, শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য গরম পোষাক নাই, দু’বেলা পেটভরে খাবার জোটেনা। এককথায় ওরা নেই রাজ্যের বাসিন্দা। কিন্তু ওরাও মানুষ। ওদেরও শীত করে, ঠাণ্ডা লাগে, ক্ষিদে পায়।
এবার নিজেদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে ওদের পাশে এসে দাঁড়াল হরিপালের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘এসো বন্ধু হই’। ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য ওদের জন্য নিয়ে এলো কয়েকটি কম্বল। তারপর ৮৬ টি পরিবারের হাতে তুলে দেয় সেই কম্বলগুলি। জানা যাচ্ছে আগামী দিনে আরও কয়েকটি পরিবারের হাতে ওরা কম্বল তুলে দেবে। ওদের লক্ষ্য মোটামুটি ৩০০ টি কম্বল বিতরণ করা।
কম্বলগুলি পেয়ে মানুষগুলি খুব খুশি। শিশুদের আনন্দ ধরেনা। অনেকে সেগুলি গায়ে জড়িয়ে নেয়। প্রবীণরা দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেন সংস্থার সদস্যদের। জনৈক প্রবীণ ব্যক্তি বললেন – কম্বল কিনে দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের ছিলনা। এবার অন্তত বাচ্চাগুলো ঠান্ডার হাত থেকে সামান্য রেহাই পাবে। কম্বল বিতরণের সময় সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, দেবাশীষ দে, গৌতম সাহা, শুভাশীষ চৌধুরী, সেখ রাজা, অন্বয় দে ও স্পন্দিতা দে সহ আরও অনেকে।
অনির্বাণ বাবু বললেন – আমাদের সাধ অনেক হলেও সাধ্য কম। সবার সাহায্য ও সহযোগিতা নিয়েই আমরা এগিয়ে চলেছি। সবার সহযোগিতা আমাদের চলার পথে পাথেয়। তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি এলাকার সহৃদয় মানুষদের কাছে আবেদন করেন।