সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- গত গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনের ঠিক আগে দলের গোষ্ঠীকোন্দল এড়াতে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লককে দুটি সাংগঠনিক ভাগে ভাগ করে তৃনমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। গঙ্গাজলঘাটি ২ নম্বর সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি হন নিমাই মাজি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তৃনমূলের গঙ্গাজলঘাটি ২ নম্বর সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি নিমাই মাজি রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তৎকালীন ব্লক সহ সভাপতি জিতেন গরাই কে অনির্দিষ্ট কালের জন্য দল থেকে বহিস্কার করেন। কয়েকমাসের ব্যবধানে দল থেকে বহিস্কৃত সেই নেতাই এবার উল্টে দিলেন পাশা। তৃনমূলের গঙ্গাজলঘাটি ২ নম্বর সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি পদ থেকে নিমাই মাজি কে সরিয়ে দিয়ে সেই পদে বসলেন নিজে। নামে পদোন্নতি হলেও দলের তরফে নিমাই মাজি কে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদ হিসাবে পরিচিত জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কয়েকমাসের ব্যবধানে তৃনমূলের অন্দরের এই রাজনৈতিক পাশা বদলে রীতিমত হতবাক এলাকার মানুষ। হতাশা চেপে তৃনমূলের সদ্য অপসারিত ব্লক সভাপতির দাবী দল যা ভালো বুঝেছে তাই করেছে। মাস কয়েক আগে দল থেকে নিজের বহিস্কার প্রসঙ্গে মুখ খুলতে নারাজ সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্লক সভাপতি জিতেন গরাই। বিজেপির কটাক্ষ নীতি নৈতিকতা বিহীন তৃনমূলে এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। বিষয়টিকে রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত বলে নিজেদের দায় এড়িয়েছে তৃনমূলের জেলা নেতৃত্ব।