সঙ্গীতা চ্যাটার্জী:- গতকাল ৯ ফেব্রুয়ারি ছিলো শ্যাম সুন্দরী মায়ের বিশেষ একটা বড় দিন। শ্যাম সুন্দরী মাকে কলকাতার জীবন্ত কালী বলা হয়। কারণ তাকে দর্শন করলে ভক্তরা তাকে জীবন্ত হিসেবে অনুভব করতে পারে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ছিলো শ্রী অমাবস্যা। এইদিন মাকে দর্শন করলে শ্রী বৃদ্ধি পায়, মা এইদিন কপালে কেশর চন্দনের লেপ লাগিয়ে তার সকল ভক্তদের দর্শন দেন আর এইদিন মা তাদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন। এইদিন মাকে দর্শন করতে তাই শ্যামসুন্দরী মায়ের মন্দিরে প্রচুর ভিড় হয়ে ছিলো।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শ্রী অমাবস্যার সময় মন্দিরের পুরোহিতের সাথে কথা হয়, কথা প্রসঙ্গে মন্দিরের পূজারী জানান যে, মায়ের রসগোল্লা খুব প্রিয়। কীভাবে তারা জানলেন মায়ের রসগোল্লা প্রিয় এই প্রসঙ্গে এক অলৌকিক লীলা কথা বলেন শ্যামসুন্দরী মায়ের সেই পূজারী, গতবছর মায়ের জন্মদিনের দিন একটি মিষ্টির দোকানে সন্দেশ অর্ডার দেওয়া হয়েছিলো। এইবার যখন মিষ্টি আসে তখন দেখা যায় যে,ডাব্বাতে করে বিশ হাজারের মতো রসগোল্লা ওখানে রাখা আছে, তো শ্যামসুন্দরী মায়ের মন্দির থেকে যারা গিয়েছিলেন তারা জানান যে,তার যে সন্দেশটা অর্ডার করেছিলেন তার অর্ধেক টাকা পে করেছেন, তাই তাদের কাছে রসগোল্লার টাকা নেই। তখন দোকানদার বলেন, আপনাদের কোন টাকা লাগবে না, আপনারা এই মিষ্টি নিয়ে যান। পূজারী তখন বলেন,“আমরা বলছি তো রসগোল্লা আমাদের নয়, তখন দোকানদার বলেন, না মালিক তো বলছে রসগোল্লা আপনাদের।”
তখন মালিককে ফোন করা হলে, মালিক বলেন, মা আমায় স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন দিয়ে বলেন, আমার রসগোল্লা খেতে ইচ্ছা করছে কিন্তু আমি তো আর রসগোল্লা একা খেতে পারি না। তাই আমার সাথে আমার সন্তানদেরকেও রসগোল্লা খাওয়াতে হবে। আগামী দিন কুড়ি হাজার মতো ভক্ত আসবে আমাকে দর্শন করতে তাদেরকেও রসগোল্লা দিতে হবে। সবাই যেন আমার প্রসাদ পায়। – তাই মিষ্টির দোকানের মালিক এই স্বপ্ন পেয়ে নিজে সকলকে রসগোল্লা প্রসাদ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। জয় মা শ্যাম সুন্দরী, তুমি সকলের মঙ্গল করো।