জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী:- কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে আলুর সহায়ক মূল্য ঘোষণা করতে হবে, কমপক্ষে ৫ বছর হিমঘরের ভাড়া একই রাখতে হবে, রাজ্যে আলুবীজ খামার তৈরি করতে হবে, কোনো হিমঘরে অতিরিক্ত আলু মজুত করা যাবেনা – এরকম ১২ দফা দাবী নিয়ে গত ১০ ই ফেব্রুয়ারি মেমারির শিবদুর্গ হিমঘরে শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির দু’দিন ব্যপী নবম রাজ্য সম্মেলন।
সম্মেলনে রাজ্য সম্পাদক বরেন মন্ডল বলেন- লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত ছেলে চাকরি না পেয়ে আলু ব্যবসার পথ বেছে নিয়েছে। তাদের ব্যবসা করার জন্য কম সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সমস্ত ব্যবসায়ীদের বিমার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি দাবি তোলেন।
তিনি আরও বলেন- ২০২২ সালে এক শ্রেণীর হিমঘরের মালিকদের প্ররোচনায় পা দিয়ে নিজেদের গচ্ছিত অর্থ দিয়ে আলু সংরক্ষণ করতে গিয়ে আলু ব্যবসায়ীদের প্রচুর ক্ষতি হয়। কার্যত ২০২২ সাল ছিল আলু ব্যবসায়ীদের কাছে লোকসানের বছর। গত বছর প্রথম দিকে কিছুটা লাভ হলেও শেষের দিকে আবার তাদের ক্ষতি হয়।
এর আগে স্বর্গীয় গোপাল চন্দ্র মন্ডল ও স্বর্গীয় ফনিভূষণ দে স্মৃতি মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মহারাজ অজ্ঞায়ানন্দজী মহারাজ। পতাকা উত্তোলন করেন মদন মন্ডল। শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন উপস্থিত প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন লাবনী দাস। স্বাগত ভাষণ দেন রাজ্য সভাপতি বিভাস দে। সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পাঠ করেন রাজ্য সম্পাদক বরেন মন্ডল। সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের উপর বিভিন্ন জেলার ৪০ জন প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন লালু মুখার্জী, চম্পালাল পারিক, সৌমেন যশ সহ অন্যান্যরা। সভা পরিচালনা করেন বরুন পন্ডিত। সম্মেলনে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ২৭০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।