শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়াঃ- ৩২ লক্ষ টাকায় তৈরি শুশুনিয়ার সুদৃশ্য দুই কটেজ দুস্কৃতিদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। পর্যটনের উন্নয়নের লক্ষে ২০১৩ -১৪ অর্থবর্ষে শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরী করা হয়েছিল দুটি কটেজ। কিন্তু সেই কটেজগুলি চালুর আগেই প্রশাসনিক উদাসীনতায় পরিনত হয়েছে দুস্কৃতি ও সমাজবিরোধীদের আখড়ায়। প্রশাসনিক এই টালবাহানা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বাঁকুড়ার অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্র শুশুনিয়া পাহাড়। এই পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বাদ নিতে সারা বছরই এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাতারে কাতারে পর্যটক ছুটে যান শুশুনিয়া পাহাড়ে। কিন্তু পাহাড়ের পর্যটন পরিকাঠামো নিয়ে পর্যটকেরা বারেবারে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ২০১৩ -১৪ সালে পাহাড়ের এই পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়নের লক্ষে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের তরফে ১৬ লক্ষ টাকা ও পূর্ত দফতরের তরফে ১৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে পাহাড়তলীতে দুটি সুদৃশ্য কটেজ তৈরী করা হয়। কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারনে তৈরীর পরেও কটেজগুলি চালু করা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকতে থাকতে একে একে কটেজের সমস্ত জানালা দরজা চুরি হয়ে যায়। সন্ধ্যে নামলেই কটেজগুলির দখল নেয় সমাজবিরোধীরা। দুটি কটেজেই নিয়মিত বসে মদের আসর। বারেবারে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে এনেছেন স্থানীয়রা। কটেজগুলি চালুর আবেদনও জানানো হয়েছে। কিন্তু হাল ফেরেনি বহু লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরী এই কটেজগুলির। কটেজগুলির এহেন অবস্থার জন্য রাজ্য সরকার ও শাসক দলের সদিচ্ছার অভাবকেই দায়ী করছে বিজেপি। দায় এড়িয়ে বাঁকুড়া জেলা পরিষদ জানিয়েছে বিষয়টি তাঁদের জানাই ছিল না। তবে কটেজগুলি চালুর ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করার আস্বাস দিয়েছে বাঁকুড়া জেলা পরিষদ।