সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল এখন দ্রুতগতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। আর সেই উন্নয়নকে হাতিয়ার করে একশ্রেণীর দুষ্কৃতীরা ভিন রাজ্য থেকে এসে সহজেই ছদ্মবেশ ধারণ করে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বসবাস করছে বলে অভিযোগ আসছে অনেকদিন ধরেই। এমনই এক ঘটনার কথা জানা গেল দিন কয়েক আগে।
চাদর ব্যবসায়ীর পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়া। তারপরেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে দুঃসাহসিক ডাকাতি । লকার ভেঙে ১ কোটি ৫০লক্ষ টাকার সোনা আর ২৭ লক্ষ টাকা নগদ নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ ছেড়ে একেবারে দুর্গাপুরে চালক আর খালাসির ভূমিকায় দুষ্কৃতীরা। অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনারা থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে ওই দুষ্কৃতীরা মহারাষ্ট্রের অক্ষয় আম্বুরে ও হরিশ মিলিন্দ গায়কোয়াড মহারাষ্ট্রের বুলধানা এলাকার বাসিন্দা। সেখানে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ যেতেই জানতে পারে তারা সে রাজ্য ছেড়েছে। তারপরেই মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে দুই দুষ্কৃতির সন্ধান মেলে দুর্গাপুর থানার মেনগেট এলাকায়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনারা থানার পুলিশ। তারপরেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের দুর্গাপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
তদন্তে উঠে আসে, ওই দুই দুষ্কৃতি ছোট ট্রাকের চালক ও খালাসীর কাজ করছিল সপ্তাহ ধরে। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানাতেও ওই গাড়িতে করে কারখানার সামগ্রীও পরিবহন করেছিল। সোমবার বিকেলে মেন গেট এলাকা থেকেই ছোট ট্রাক থেকেই গ্রেপ্তার হয় অক্ষয় আম্বুরে ও হরিশ মিলিন্দ গায়কোয়াড। আটক করা হয় ট্রাকটিকেও। অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনারা থানার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। বুধবার ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন চেয়ে তোলা হয় মহকুমা আদালতে। তারপরেই অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনারা থানার পুলিশ পৌঁছায় দুর্গাপুরে। অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, সাত জনের দুষ্কৃতি দল ওই রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতি করে। তারপরেই পশ্চিম বর্ধমানে আশ্রয় নেয়। ট্রানজিট রিমান্ডে চার দিন নিয়ে তদন্তের গতি আনা হবে বলেও জানান অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনারা থানার পুলিশ।