অঙ্কিতা চ্যাটার্জ্জী, বাঁকুড়াঃ- অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা রাজ্যের তপশিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সাহায্যের জন্য ২০২০ সালের ১ লা এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী ‘জয় জোহার’ প্রকল্প শুরু করেন। ঠিক হয় ৬০ বছরের উর্ধ্বে তপশিলি জাতি ও উপজাতির বাসিন্দারা প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে পেনশন পাবে। তারপর থেকে প্রতিবছর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে গত ৩ রা মার্চ ১৫ টি জেলার ১০২ টি আদিবাসী অধ্যুষিত ব্লকে শুরু হয়েছে তিন দিন ব্যাপী ‘জয় জোহার’ মেলা। বাঁকুড়া জেলার জঙ্গলমহলের রাইপুর ব্লকে মেলার শুভ সূচনা করেন রাইপুর বিধানসভার বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু। উপস্থিত ছিলেন বিডিও হীরক বিশ্বাস, রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ্মিনী মুর্মু, প্রাক্তন সভাপতি সুলেখা মাহাত, রাইপুর থানার আইসি, বিভিন্ন বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ সহ বহু বিশিষ্ট মানুষ।
মেলা উপলক্ষ্যে মেলা প্রাঙ্গণে প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগ, কৃষি বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, শ্রম বিভাগ, ল্যাম্পস সহ বিভিন্ন বিভাগের স্টল করা হয়েছে। প্রতিটি স্টল থেকে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রাইপুর হাই স্কুল সংলগ্ন মাঠ প্রাঙ্গণে পালস পোলিওর একটি বিভাগ খোলা হয়েছে। সেখানে এক শিশুকে পালস পোলিও ড্রপ খাওয়ান যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুজয় ব্যাপারী।
রাইপুরের বিডিও হীরক বিশ্বাস জানান – তিন দিন ধরে এই মেলা চলবে। মেলায় আগতদের মনোরঞ্জনের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আছে আদিবাসী নৃত্য, ফুটবল প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। এছাড়াও সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে ‘সারেঙ্গা মহাতাজি স্মৃতি বিদ্যালয়’ সংলগ্ন ব্লক কমিউনিটি হলে শুরু হয়েছে ‘জয় জোহার’ মেলা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সারেঙ্গার বিডিও তমাল কান্তি সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌসুমী সিংহ মহাপাত্র, প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ অজিত দাশ ধীবর, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ কল্যাণ মল্লিক সহ বিশিষ্ট মানুষজন।
এই মেলা প্রাঙ্গণ থেকে প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতায় বেশ কিছু উপভোক্তাদের মধ্যে শূকর ছানা বিলি করা হয়। এই মেলাকে কেন্দ্র করে জেলার তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।