সংবাদদাতা, কোন্নগর:- সানাই বাজিয়ে উলুধ্বনি, পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারনের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন এক-দু’জোড়া নয়, এক্কেবারে তিন জোড়া পাত্র-পাত্রী। কোন্নগর এর বারো শিব মন্দির ঘাটে জীবনসাথী বিকাশ ফাউন্ডেশন ও ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্ৰাইম কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এর যৌথ উদ্যোগে শনিবার অনুষ্ঠিত হল সামাজিক দায়বদ্ধতা তিন কন্যার শুভ পরিণয় (এই গণ বিবাহ)। এ এক অন্যরকম বিয়ে। কোন্নগর এর বারো শিব মন্দির ঘাটে শনিবার বিকেল থেকেই সাজ সাজ রব। সন্ধে নামতেই বারো শিব মন্দির ঘাটে আলোর সাজে মোহময়ী চারপাশ। মূল অনুষ্ঠান কোন্নগর এর বারো শিব মন্দির ঘাটের মাঠে। সেখানেই মূল বিয়ের মন্ডপ। ছাদনাতলা। সন্ধ্যায় ভি আই পি স্কট করে নিয়ে আসা হয় তিন জোড়া বর ও বধূদের। নামানো হয় গাড়ী থেকে। বরণ করে নেওয়া হয় বরদের। বরদের প্রত্যেকের পরনে গিলে করা নতুন পাঞ্জাবি। কোনেদের সাজানো হয় চন্দনের ফোঁটায়, পরণে ছিল জীবন সাথী বিকাশ ফাউন্ডেশন এর সদস্যদের উপহার দেওয়া বেনারসি শাড়ী। কন্যা দান করেন জীবন সাথী বিকাশ ফাউন্ডেশন এর পক্ষে শাশ্বতি দাস (ডাইরেক্টর), ঈশিতা ঘোষ (সদস্য) ও স্বাতী রায় (চেয়ারপারসন)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন গণ মান্য ব্যাক্তি গান। সন্ধে লগ্নে অতিথি অভ্যাগতদের উপস্থিতিতে মালা বদল করলেন তিন জোড়া পাত্রপাত্রী। হল সিঁদুর দান। খই পোড়ানো। শুরু হল নতুন করে পথ চলা। হিন্দু রীতি মেনে এদিন এই গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হল। সমগ্র বিবাহ অনুষ্ঠানটি সুন্দর ভাবে সম্পন করেন খনা মা। বিয়ের সাজের পাশাপাশি পাত্র- পাত্রী কে দেওয়া হল সাংসারিক সামগ্রিক সহ খাট, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, সাইকেল, বাসনপত্র, দান সামগ্রী। দেওয়া হল এক মাসের চাল ডাল সহ নানান খাদ্য সামগ্রীও। বিয়ে অথচ বরযাত্রী কনেযাত্রী নেই তাই কখনও হয়। ছিলেন তাঁরাও। বর কনে উভয়কেই বন্ধু বান্ধব আত্মীয় পরিজন আনতে বলা হয়েছেল। বিয়ের শেষে বর ও কনেযাত্রী-সহ দুই হাজার অতিথি অভ্যাগত ভোজ খেলেন। গণবিবাহের মূল উদ্যোক্তা জীবনসাথী বিকাশ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারপার্সন ও ডিরেক্টর শাশ্বতী দাস ও স্বাথী মিত্র বললেন, অনেকেরই সাধ থাকলেও ঘটা করে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য নেই। আবার অনেক পাত্র নানা কারণে বিয়ের পাত্র পাননি। তাঁদের সেই ইচ্ছে পূরণ করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। বিয়ের রাজকীয় আয়োজনে খুশী পাথর প্রীতিমার পাত্র পাঁচু গোপাল সামন্ত, তাপস সরদার, সুদাম দাস ও পাত্রী তনুশ্রী বাড়ুই, মিনতি কায়াল, টিঙ্কু জানা রাও।