সংবাদদাতা, বার্ণপুরঃ- বার্ণপুর স্টেশন থেকে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজ তুলে নেওয়ার প্রতিবাদ / নাগরিক মঞ্চ ও ব্যবসায়ী সমিতির বিক্ষোভ মিছিল হয়। বার্নপুর নাগরিক মঞ্চ ও ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার করোনার সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি ট্রেনের স্টপেজ চালু সহ কয়েকটি দাবি নিয়ে বার্নপুর রেল স্টেশনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এর আগে এদিন এই সংগঠনের তরফে বার্ণপুর স্টেশন রোড থেকে একটি মিছিলও করা হয়েছিলো। সেই মিছিল শেষে সংগঠনের সদস্য ও সদস্যারা বার্ণপুর স্টেশনের ১ নং প্ল্যাটফর্মে কয়েক মিনিটের জন্য প্রতীকী অবরোধও করেন।
এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অশোক রুদ্র। সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে , করোনার সময় দূরপাল্লার বেশ কয়েকটি ট্রেনের বার্নপুর স্টেশন থেকে স্টপেজ তুলে নেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এইসব ট্রেন গুলির বার্নপুর স্টপেজ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পে বার্ণপুর স্টেশনে উন্নয়নের করার প্রতিশ্রুতি দিয়ছেন। অন্যদিকে বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ বার্ণপুর স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হল। এর ফলে এই এলাকার মানুষদেরকে আসানসোল স্টেশনে গিয়ে এই ট্রেন গুলি ধরতে হচ্ছে। এরজন্য সাধারণ মানুষকে হয়রান হতে হচ্ছে।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অশোক রুদ্র বলেন, টাটা-ছাপরা, সাউথ বিহার এক্সপ্রেস, পুরী-পাটনা, তাম্বারাম-নওগাঁও এক্সপ্রেস, পাটনা-এর্নাকুলাম, তাম্বুরা-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের বার্ণপুর স্টেশন থেকে স্টপেজ করোনার সময় তুলে দেওয়া হয়েছে। এর জন্যে প্রায় ১ লক্ষের মানুষ অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে । তিনি আরো বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অমৃতভারত প্রকল্পে বার্নপুর স্টেশনের মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তখন সেখানে এইসব ট্রেনের স্টপেজ তুলে দিয়ে বার্নপুর স্টেশনের উন্নয়ন কি করে সম্ভব তা আমরা বুঝতে পারবে না । বার্ণপুর থেকে আসানসোল স্টেশন পর্যন্ত এই ট্রেনগুলি ধরতে বিশেষ করে বৃদ্ধ পুরুষ ও মহিলা, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী সহ বার্ণপুর এলাকার মানুষদের অসুবিধায় ফেলে রেলের কি করতে চাইছে, তা আমরা বুঝতে পারছিনা । তিনি আরো বলেন, এদিন আপাততঃ এই আন্দোলন করা হলো। দাবি মানা না হলে, বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে আগামী দিনে।