সংবাদদাতা, রানিগঞ্জঃ- আসানসোল পুরনিগমের রানিগঞ্জের ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের চিনকুটি সার্কাস ময়দানে অস্থায়ী হাট তলায় ভয়াবহ আগুন। রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হল হাটতলার মধ্যে তিনটি সারিতে থাকা প্রায় ৪৫ টির মতো সবজির দোকান।
প্রচন্ড রোদের কারণে এমনিতেই হাটতলার ঐসব দোকানগুলিতে তেমন কেউ ছিলো না। বলতে গেলে প্রায় সকলেই তখন দুপুরে খাবার খেতে বাড়ি যান। সেই সময়ই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কয়েক মুহূর্তে হাওয়ার দাপটে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে হাটতলার বিস্তীর্ণ অংশের দোকানে। স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন দেখে লক্ষ্য রানিগঞ্জ থানার পুলিশ ও দমকল বিভাগের খবর দেন। সেই খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনারস্থলে পৌঁছায়। দমকলকর্মীরা প্রায় আধঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপরই আগুনকে সম্পূর্ণভাবে নিভিয়ে ফেলার জন্য, দমকলের আরো একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দমকলকর্মীরা ঘন্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলেন।
এদিনের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪০ টি থেকে ৪৫ টি দোকান একেবারে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছান, আসানসোল পুরনিগমের রানিগঞ্জ বোরোর চেয়ারম্যান মোজাম্মেল শাহজাদা। একইভাবে ঘটনাস্থলে আসেন রানগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক রুনু দত্ত।
বোরো চেয়ারম্যান এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টিকে নিয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সঙ্গে কথা বলেছি। দোকানদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে, কি করে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে তিনি জানান। পাশাপাশি রানিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়কও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য আসানসোল পুরনিগমকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।
এই আগুনের ঘটনায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪০ -৪৫ টি দোকানদারদের বলে দাবি করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, এই হাটতলায় স্থায়ী কাঠামো থাকলে এরূপ ঘটনা ঘটত না। তবে অস্থায়ী এই হাট তলায় স্থায়ী কাঠামো আদৌও তৈরি করা সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।