সুজয় কর, কলকাতাঃ- গত কয়েকবছর ধরে রাজ্যের যে কয়টি সংস্থা বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তার অন্যতম হলো ‘রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বাচিক সংসদ’। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুপ্রেরণায় সেই ২০১৭ সাল থেকে সংস্থাটি গ্রাম বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের কবি-শিল্পীদের নিয়ে আয়োজন করে চলেছে একের পর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবছরও তার ব্যতিক্রম ঘটলনা।
১১ ই মে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন বিপ্লবী নলিনী গুহ সভাগৃহে ‘বিশ্ব বাংলা’ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক কবি-শিল্পী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত কবিদের স্বরচিত কবিতা পাঠ এবং শিল্পীদের নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন উপস্থিত শ্রোতা ও দর্শকদের মুগ্ধ করে। সাহিত্য সম্পর্কে প্রবীণ কবিদের মননশীল আলোচনা একসময় অনুষ্ঠানটিকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। অনুষ্ঠানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল সাম্যের বার্তা। তারজন্য বিশেষ অতিথি বা প্রধান অতিথি হিসাবে নির্দিষ্ট কেউ ছিলেননা। প্রত্যেককে সমান মর্যাদা দেওয়া হয়। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত গুণীজনদের হাতে স্মারক সম্মাননা তুলে দেন সংস্থার অন্যতম সদস্যা অপর্ণা ঘোষ ও স্বপ্না সাহা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সোমা মজুমদার।
এর আগে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন সংস্থার কর্ণধার রীতেশ ঘোষ। উপস্থিত শিল্পীরা সমবেত সংগীতের মাধ্যমে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উপস্থিত কবি-শিল্পীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সংস্থার কর্ণধার রীতেশ ঘোষ বলেন, ‘বাংলার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তার সংগঠন বদ্ধপরিকর। জাতির উন্নতি করার জন্য ছড়িয়ে দিতে হবে সংস্কৃতির আলো। সেই লক্ষ্যে তার সংস্থা কাজ করে চলেছে।’ অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই তিনি আগামী বছরের ‘বিশ্ব বাংলা’ অনুষ্ঠানে সবাইকে আগাম আমন্ত্রণ জানান।