সংবাদদাতা, আসানসোলঃ- সরকারি জমির খোঁজ পাওয়া গেলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। শনিবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতাল রোগী কল্যান সমিতির বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক ভাবে আলোচনা হয়েছে।
আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বা এসএসএইচের কনফারেন্স হলে হওয়া এদিনের বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস খান, আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, হাসপাতাল সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, পিডবলুডি বা পূর্ত দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ( সিভিল) রুপেশ বারুই, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, জেলা হাসপাতালের ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায়, সহকারী সুপার, চিকিৎসক সহ অন্যান্যরা।
বৈঠকে জেলা হাসপাতাল চত্বরে ১০০ বেডের একটি সিসিবি বা ক্রিটিকাল কেয়ার ব্লক তৈরি করার ক্ষেত্রে স্থানীয় স্তরে এলাকার বাসিন্দাদের বাধা দেওয়ার বিষয়টি উঠে। তারা ঐ ব্লক তৈরি হলে, তাদের যাতায়াতের রাস্তায় সমস্যা হবে বলে জানিয়েছেন। বৈঠকে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, সরকারি জমিতে হাসপাতালের ভবন নির্মাণ হবে। সেখানে কোন বাধা হতে পারে না। মন্ত্রী নিজে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে এই বিষয়ে শনিবার রাতেই ওয়ার্ড কাউন্সিলারকে নিয়ে আলোচনা করবেন বলে বৈঠকে জানান। মন্ত্রী অবিলম্বে ঐ ভবন তৈরির কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।
এই বৈঠকে সিএমওএইচ আসানসোল জেলা হাসপাতালের রোগীর চাপ কমাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাব তোলেন। কিন্তু জমি না মেলায় রাজ্য সরকারের কাছে তার প্রস্তাব পাঠানো যাচ্ছেনা বলে সিএমওএইচ বৈঠকে বলেন। সেই সময় মন্ত্রী তার সন্ধানে থাকা একটি সরকারি খাস জমি আছে বলে সিএমওএইচকে জানান। তিনি সেই জমি দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
এই প্রসঙ্গে বৈঠকের পরে সিএমওএইচ বলেন, এই জেলায় কোন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেই। আমি আড্ডা বা আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার কাছে জমি চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা যে জমির সন্ধান দিয়েছিলো, তা মেডিকেল কলেজের ঠিক নয়। তা, তাই বাতিল করা হয়েছিলো। এদিনের বৈঠকে মন্ত্রী মলয় ঘটক একটা জমির সন্ধান দিয়েছেন। আসানসোলে ১৯ নং জাতীয় সড়কে কাল্লা মোড়ের কাছে একটা ২৯ একরের মতো সরকারি জমি আছে। তারমধ্যে কিছু জমি কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাকি জমিটা আমি দেখবো। মন্ত্রীর কাছে তার নথি আছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে আমি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলবো। তারপর সব ঠিক থাকলে আমি একটা প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাবো। বাকিটা রাজ্য সরকারের বিষয়। সিএমওএইচ আরো বলেন, এদিনের রোগী কল্যান সমিতির বৈঠকে জেলা হাসপাতালের সিসিবি ব্লক ও একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।