সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:- বাঙালিদের রয়েছে আমের প্রতি দুর্বলতা। শেষ পাতে মিষ্টি আম কিংবা আমের আচার অথবা আম তেল। আম পেলেই যেন বদলে যায় রসনা তৃপ্তি! কিন্তু নয় মাস প্রায় গ্রীষ্মের প্রভাব থাকলেও মাত্র দুই থেকে আড়াই মাস পাওয়া যায় পাকা সুমিষ্ট আম। আবার শুরু হয় অপেক্ষা, পরের বছরের জন্যে। তবে আর চিন্তা নয় যদি আপনার মন চায় পাকা আম খাওয়ার জন্য তাহলে আপনার বাড়ির উঠানের ছোট্ট জায়গাটাতে বসাতেই পারেন কাটিমন আম গাছের চারা। কাটিমন আম সারা বছর আমের ফলন দেবে। বাঁকুড়ার পরশমণিতে বিপুল আকারে চাষ করা হচ্ছে এই লম্বাটে সুদৃশ্য কাটিমন আম। চাইলে পরশমণিতে অর্ডার করিয়ে ইন্ডিয়ান পোস্টের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন হোম ডেলিভারিও।
বাঁকুড়া জেলার দামোদরপুরে অবস্থিত পরশমণিতে ৫০০-৭০০ কাটিমন আমের গাছ বসিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে এই আমের চাষাবাদ শুরু হয়েছিল, তবে এই আম এবার বাজারজাত করা হবে। বাজারে গ্রীষ্মকালে ১২০-১৩০ টাকা মূল্যে এবং অফ সিজনে প্রায় ২০০-২৫০ টাকা প্রতি কেজি মূল্যে বিক্রি হয় এই আম।এক একটি গাছ থেকে বছরে তিনবার প্রায় ২০০ কিলো করে ফলন হয়। ইতিমধ্যেই দেখা গেছে কাটিমন আমের দারুন ফলন।
সবথেকে বড় ব্যাপার কাঁচা তেও সুমিষ্ট পাকাতেও সুমিষ্ট এই আম। একদম তন্তু বিহীন শাঁসে পরিপূর্ণ ছোট আঁটির এই আম মন কেড়েছে বহু মানুষের। এক একটি আমের সাইজ 200 গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। বেশ কয়েক বছর আগে আম মানে মালদা এবং মুর্শিদাবাদের নাম সবার আগে আসত কিন্তু বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের আমের ফলনের রাজা জেলা বাঁকুড়া। বাঁকুড়ার আম যাচ্ছে দেশ-বিদেশে। তাই পরশমনির লক্ষ্য এই নতুন ধরনের সারা বছরের আম যাতে ছড়িয়ে পড়ে বাঁকুড়ার ঘরে ঘরে। গ্রীষ্মকালে,দুর্গা পুজো এবং শীতকালে, এই তিনবার কাটিমন আমের ফলন দেখা যায়। বাঁকুড়ার মাটিতে দূর্দান্ত ভাবে সফল এই আম আপনি চাইলেই পেয়ে যাবেন ঘরে বসে অর্ডার দিয়ে।