সংবাদদাতা, আসানসোল:- আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি বা তৃনমুল ছাত্র পরিষদের আন্দোলন বুধবার তৃতীয় দিনে পড়লো। এদিন থেকে নিজেদের দাবি আদায়ে টিএমসিপির কর্মী সমর্থক পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধর্ণার পাশাপাশি অনশন শুরু করেছে। পাশাপাশি তৃতীয় দিনের আন্দোলনে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় বা অর্থ খরচ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
এদিকে, টিএমসিপির ডাকে পড়ুয়াদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃনমুল কংগ্রেসের অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপা। এদিন সংগঠনের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি বীরু রজকের নেতৃত্বে অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের একটি দল টিএমসিপির দাবিগুলিকে সমর্থন জানিয়ে আন্দোলন স্থলে আসেন। এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক সংগঠনের জেলা সভাপতি বলেন, পড়ুয়ারা যে দাবি গুলো নিয়ে তিনদিন ধরে আন্দোলন করছে, তা খুবই যুক্তিসঙ্গত। আমরা তাদের পাশে আছি। তাদের আন্দোলনকে সমর্থন করছি। তিনি আরো বলেন, এদিন উপাচার্য, রেজিস্ট্রার সহ অন্য আধিকারিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে, পরপর টানা তিনদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা পাওয়া যায়নি উপাচার্য ডাঃ দেবাশীষ বন্দোপাধ্যায় ও রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে। টানা তিনদিন আন্দোলন চলার বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের আন্দোলন আজ তিনদিনে পড়লো। আদালতে একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা লড়তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেভাবে পড়ুয়াদের কাছ থেকে নেওয়া ফি খরচ করেছেন সে বিষয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করছি। এদিন থেকে ছাত্ররা দাবি আদায়ে অনশন শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, এখানে অযথা টাকা খরচ করা হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। পড়ুয়াদে জন্য ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। ল্যাবরেটরিও নেই। এমন পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের কি করা উচিত? তাই পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই এই আন্দোলন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে রেজিস্ট্রার কেউ শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি নিয়ে কোন কথা বলছেন না। তার মতে, আইনজীবীদের পেছনে অন্তত ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠনের পদাধিকাররা এদিন এখানে এসে ছাত্রদের এই আন্দোলনে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
পড়ুয়াদের টানা তিনদিনের আন্দোলন প্রসঙ্গে এদিন উপাচার্য তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি ছেলেমেয়েদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা কামনা করি। প্রসঙ্গতঃ, সোমবার থেকে টিএমসিপি উপাচার্যের অপসারণ ও অর্থ খরচের হিসাব চেয়ে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের অফিসে তালা লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধর্ণা বিক্ষোভে বসেছে পড়ুয়ারা।