সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- একুশে জুলাইকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় চলছে শাসক দল তৃণমূলের প্রস্তুতি সভা। এবার সেরকমই এক সভা থেকে গত লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া তৃণমূল কর্মীদের দলে প্রকাশ্যে আহ্বান জানালেন তালডাংরা ব্লক তৃণমূল সভাপতি তারাশঙ্কর রায়। আর এই আহ্বানকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বাঁকুড়া জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপদতারণ সেনের দাবি আসন্ন উপনির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনেই তৃণমূল ব্লক সভাপতির এই আহ্বান।
বিজেপি নেতার মতে, সামনেই উপনির্বাচন, আর সেই উপনির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল সাংগঠনিকভাবে ভীত হয়ে পড়েছে। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ও সিপিএমের ভোট ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়েছে। এমনকি বিধানসভায় বর্তমানে বিরোধীদের সম্মিলিত ভোট এবং শাসকদলের প্রাপ্ত মোট ভোটের মধ্যে বিস্তর ফারাক নেই। তাই আসন্ন উপনির্বাচনে সিপিএমের ভোট বিজেপিতে গেলে তৃণমূলের হার নিশ্চিত। আর তাই সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টি বুঝতে পেরে দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া কর্মীদের ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূল সভাপতি তারাশঙ্কর রায় তাঁর বক্তব্যের সমর্থনের বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দল করেছিলেন তখন বলেছিলেন বদলা নয় বদল চাই। আমাদের ঘরের ছেলে যদি রাগ করে, আমাদের কর্তব্য দলের ছেলেদের দলে ফিরিয়ে নেওয়া।
উল্লেখ্য গত ২০২৩-র ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে তালডাংরা বিধানসভার জেলাপরিষদ, গ্রামপঞ্চায়েত সব শাসক দল জয়লাভ করলেও পঞ্চায়েত সমিতির দুটি আসনে বিজেপি জয়লাভ করে। পরে আবার ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে তালডাংরা বিধানসভার পাঁচটি পঞ্চায়েত পিছিয়ে যায় শাসকদল তৃণমূল এবং বিজেপি জয়লাভ করে। কিন্তু ২০২১-এ তালডাংরা বিধানসভা থেকে জয়লাভ করেছিল তৃণমূলের অরুপ চক্রবর্তী পরে তিনি ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া লোকসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করে জয়লাভ করে। এবং জয়ের পর তালডাংরা বিধানসভার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। যার কারনে তালডাংরা বিধানসভা আসনে পুনরায় উপনির্বাচন হবে। সেই উপনির্বাচন দোরগড়ায়। তার আগে তালডাংরা ব্লক তৃণমূল সভাপতির প্রকাশ্যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার কর্মীদের দলে আহ্বান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।