সন্তোষ কুমার মণ্ডলঃ– আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট উঠে গেলেও তার প্রভাব বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পড়েনি রাজ্যের খুচরো বাজারগুলিতে। কোথাও ৪০ টাকা, কোথাও ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে এক কেজি জ্যোতি আলু। চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হয়েছে আরএকটু বেশি দামে। পশ্চিম বর্ধমানের বাজারেও এদিন এক কেজি আলু ৪০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হয়েছে বলে দাবি ক্রেতাদের। তবে একটু ভাল আলু নিতে গেলে তার দাম প্রায় ৪৫ টাকা কেজি। পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নমবলম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ইতিমধ্যে একটি বৈঠক করেছেন। কোল্ড স্টোরেজের মালিকেরা বৃহস্পতিবার আলু সরবরাহ করলে শুক্রবার থেকে দাম কমবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে বাজারে আলু পেয়াজ সহ সবজির দামের হাল হকিকত দেখতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসানসোল প্রধান সবজি বাজারে হঠাৎ হানা দেয় জেলা শাসকের নেতৃত্বে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। এই অভিযানে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আসানসোল সদর এর মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, ডিসিপি সেন্ট্রাল ধ্রুব দাস, এগ্রি মার্কেটিং এর আধিকারিকেরা ও আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ।
এদিন জেলাশাসক ব্যবসায়ীদের সবজি ও আলু পেয়াজের সঠিক দাম নেওয়ার নির্দেশ দেন। অযথা বেশি দাম নেওয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেরর হুঁশিয়ারি দেন তিনি । যদিও ক্রেতারা দাবি করেন সরকারি এই অভিযানের আগে বাজের আলু পেয়াজ সহ সবজি চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছিল। এই কথা শুনে জেলাশাসক জেলা প্রশাসনের টিমকে জেলার সমস্ত বাজারে প্রত্যেকদিন একাধিকবার অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। অন্যদিকে এদিনের অভিযানের সময় সন্দেহ হওয়ার কিছু ব্যবসায়ীর সমস্ত বিবরণ লিখে নেন সরকারি আধিকারিকরা। এই বিষয়েও তদন্ত হবে বলে জানান জেলাশাসক।