eaibanglai
Homeএই বাংলায়গো সাপের গোপনাঙ্গ পাচার কাণ্ড, ধৃত দুই

গো সাপের গোপনাঙ্গ পাচার কাণ্ড, ধৃত দুই

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– নিরীহ প্রাণীর গোপনাঙ্গ অর্পণ করে দেবী বা দেবতাকে প্রসন্ন করলেই মিলবে ধনসম্পদ। এমনই ভ্রান্ত ধারণার শিকার হতে হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় বহু প্রাণীকে। এরকমই একটি ঘটনা সামনে এসেছে সম্প্রতি। ঘটনায় আসানসোলের এক ব্যবসায়ীর নামও উঠে এসেছে। গত ২৪ জুলাই দুর্গাপুর বন বিভাগের অন্তর্গত আসানসোল বনাঞ্চলের কর্মীরা আসানসোল বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে ৩৫টি পুরুষ গো সাপ বা মনিটর লিজার্ডের গোপনাঙ্গ উদ্ধার করে। ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় দু’জন। অভিযুক্তদের আসানসোল আদালতে তোলা হলে ২ আগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

জানা গেছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনবিভাগের একটি টিম ওইদিন সকাল থেকে আসানসোল বাসস্ট্যান্ডে সাদা পোশাকে নজর রাখা শুরু করে। দুপুর নাগাদ আসানসোলের এক নামকরা দশকর্মা সামগ্রীর দোকানের মালিকের ছেলে আকাশ কুমার বার্ণোয়াল দোকানের এক কর্মী নরেশ যাদবকে নিয়ে সেখানে পৌঁছায়। এবং দশকর্মার সামগ্রী বোঝাই একটি বস্তা ঝাড়খন্ডগামী বাসে চাপানোর সময় বনদপ্তরের লোকজন তাদের ঘিরে ফেলে ও তল্লাশি চালায়। এরপরই বস্তা থেকে গো সাপের অঙ্গগুলি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দোকানের একটি রশিদও উদ্ধার হয়। যার থেকে জানা যায় ওই বস্তাটি রাঁচিতে পাচার করা হচ্ছিল। এছাড়া যে স্কুটিতে করে দু’জন বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছয় সেই স্কুটিটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়।

এদিকে, শহরের একটি বড় দশকর্মার দোকানের নাম এই পাচারকাণ্ডে উঠে আসায় এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্যান্য দশকর্মা ব্যবসায়ীদের উপরও নজরদারি শুরু হয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। পাশাপাশি কেউ কোনো দোকানে এই সমস্ত জিনিস বিক্রি হতে দেখলে নিকটবর্তী বন দপ্তরে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে ডিএফও দুর্গাপুর অনুপম খান। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালেও রানিগঞ্জে এই প্রাণীর চারটি গোপনাঙ্গ উদ্ধার করেছিল বনদপ্তর এবং একজন মহিলা জ্যোতিষীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments