নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজোর। হাতে আর মাস দুই। তারপরই দুর্গোৎসবে মেতে উঠবে আপামর বাঙালি। এদিকে তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে রাজ্য জুড়ে। একদিকে যখন কুমারটুলিতে মূর্তি তৈরির ব্যস্ততা অন্যদিকে তখন ক্লাবে ক্লাবে চলছে খুঁটি পুজো ও মণ্ডপ তৈরির কাজ। রবিবার দুর্গাপুরের অন্যতম বড় পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের খুঁটি পুজো হয়ে গেল। উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত গ্রাম উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, নগর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারি সহ বিশিষ্টজনেরা।
এবার ৫৭ বছরে পদার্পন করল অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের পুজো। প্রতিবার শহরের সেরা দুর্গাপুজোর তালিকায় স্থান করে নেয় এই পুজো। প্রতিবারই থাকে নতুন নতুন থিমের চমক। এবারও তার অন্যথা হবে না বলেই দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের। এবার রাজস্থানের ‘হাওয়া মহল’ উঠে আসবে অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের পুজো মণ্ডপে। মরুভূমির দেশে গরমে মহলের রানিদের যাতে অসুবিধা না হয় তাই অসংখ্য মৌচাকের মতো জানালা দিয়ে তৈরি এই ‘হাওয়া মহল’। কোনোরকম বাতানুকুল যন্ত্র ছাড়ই প্রচণ্ড গরমেও মহলের ভিতরের পরিবেশ থাকে ঠাণ্ডা। ঐতিহাসিক এই ‘হাওয়া মহল’র স্থাপত্য আজও বিস্ময় জাগায়। প্রতিবছর দেশ বিদেশ থেকে বহু পর্যটক ভিড় জমান এই প্রসাদ দেখতে। উদ্যোক্তাদের মতে এই মণ্ডপ তৈরিতে খরচ পড়বে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।
এছাড়াও এবারের অগ্রণী ক্লাবের পুজোও থাকছে অন্য এক চমক। এবার ক্লাব প্রঙ্গনের বদলে পুজো মণ্ডপ তৈরি হবে মহিষ্কাপুর হাই স্কুলের মাঠে।