সঙ্গীতা কর, বাগনান, হাওড়া:- সবার সেরা বাঙালির ফুটবল – টিভির দৌলতে বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের ফুটবল উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া গেলেও আজও বাঙালির কাছে সবচেয়ে বড় আবেগ ফুটবল। এই আবেগের একদিকে আছে লক্ষ লক্ষ সমর্থকদের নয়নের মণি মোহনবাগান, অপরদিকে আছে ইস্টবেঙ্গল। যতই আইএসএল চালু হোক ঘটি-বাঙালের ফুটবল মাঠে লড়াই আজও বাঙালিকে উদ্বেল করে তোলে। ফুটবল ‘ডার্বি’-র দিন বাঙালি ফুটবল প্রেমীরা কার্যত দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায়।
এক আবেগঘন মুহুর্তে বাঙালদের ভাবাবেগকে মর্যাদা দিয়ে সুরেশচন্দ্র চৌধুরী জোড়াবাগানের নিমতলা ঘাট স্ট্রিটের তার বাড়িতে ১৯২০ সালের ১ লা আগস্ট প্রতিষ্ঠা করেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। তারপর লক্ষ লক্ষ লাল-হলুদ সমর্থকদের আবেগ, ভালোবাসা ও স্বপ্নকে পাথেয় করে অনেক সাফল্যের মুকুট মাথায় পরে শতবর্ষ অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে ক্লাব প্রেমীদের উদ্যোগে ১ লা আগস্ট রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হচ্ছে ক্লাবের ১০৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবস ‘ইস্টবেঙ্গল দিবস’।
গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হচ্ছে বৃষ্টি – কখনো ভারী, কখনো অতি ভারী। সেই অতি ভারী বৃষ্টিকে মাথায় করে হাওড়ার বাগনানের ‘ইস্টবেঙ্গল প্রেমী সংঘ’- এর উদ্যোগে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হলো ‘ইস্টবেঙ্গল দিবস’।
বৃষ্টির মাঝেই কয়েকশ লাল-হলুদ জনতার উপস্থিতিতে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে বিশিষ্ট সাংবাদিক নুরুল আবসার মাল্যদান করার পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সদস্য প্রসূন রায়। ক্লাবের পক্ষ থেকে উপস্থিত অতিথিদের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে ও হাতে দলীয় পতাকা, বৃক্ষের চারা ও ইলিশ মাছ তুলে দিয়ে বরণ করেন ক্লাব সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডা: সৌরেন্দু শেখর বিশ্বাস, সাংবাদিক নুরুল আবসার, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সদস্য প্রসূন রায়, বিশিষ্ট সমাজসেবী শচীন ঘোষাল, খেলোয়াড় তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বাবলু সাঁতরা, সমাজসেবী তথা কলেজ ছাত্রী পৌলমী মিশ্র, সায়ন বেরা, দেলুয়ার মল্লিক সহ অনেক ইস্টবেঙ্গল প্রেমী।
অনুষ্ঠানে প্রত্যেকে বক্তা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দীর্ঘ গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরেন। বিদেশী দলের বিরুদ্ধে কীভাবে বারবার বুক চিতিয়ে লড়াই করে বাংলা তথা দেশের সম্মান রক্ষা করেছে সেইসব তথ্য তুলে ধরেন।
অন্যদিকে চন্দ্রনাথ বাবু বলেন, এই ক্লাব সমস্ত ফুটবল প্রেমী মানুষের আবেগ। সুতরাং ক্লাবের মর্যাদা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার।