সংবাদাতা, আসানসোলঃ- গাড়ুই নদীর জলের তোড়ে ভেসে গেল চারচাকা গাড়ি। ঘটনায় মৃত্য হয়েছে ওই গাড়ি চালক, প্রাক্তন এক সেনা কর্মীর। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের কল্যাণপুর হাউজিংয়ের কাছে।
মৃত গাড়ি চালকের নাম চঞ্চল বিশ্বাস, বয়স ৫৯ বছর, বাড়ি আসানসোল সুগম পার্ক এলাকায়। জানা গেছে প্রাক্তন সেনা কর্মী চঞ্চল বিশ্বাস আসানসোলে একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। চলতি বছরেই তার চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ছিলো। তার স্ত্রী একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে আসানসোল শহর তথা গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়। টানা বৃষ্টি চলতে থাকে শুক্রবারও।ভারী বর্ষণের জেরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমতে শুরু করে। গাড়ুই নদীর জলও বেড়ে যায়। কল্যাণপুর হাউজিং এলাকায় গাড়ুই নদীর উপরে একটি ব্রিজ রয়েছে। এদিন সন্ধ্যের দিকে নদীর জল এতটাই বেড়ে যায় যে ওই ব্রিজের উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করে। এদিকে ওই সময় ছোট চারচাকা গাড়ি নিয়ে ওই ব্রিজ পারপার করছিলেন চঞ্চলবাবু। সেই সময় জলের তোড়ে গাড়িটি ভেসে যায়। ওই ঘটনাটি এলাকার এক বাসিন্দা ক্যামেরাবন্দি করেন। পরে সেই ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়। তাতে শোনা যাচ্ছে, এলাকার বাসিন্দারা গাড়ি চালককে ওই রাস্তায় যেতে বারণ করছেন। পরে যখন গাড়িটি ভেসে যাচ্ছে, তখন দূর থেকে এলাকার বাসিন্দারা চালককে দরজা খুলে বেরিয়ে আসতেও বলছেন।
অন্যদিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আসানসোল দক্ষিণ পিপি থানার পুলিশ। তল্লাশিতে নামে এন ডি আর এফ দল। অবশেষে শনিবার সকালে ঘটনাস্থল ( কল্যানপুর হাউজিং) থেকে কিছুটা দূরে আসানসোলের গাড়ুই নদী থেকে গাড়িটি উদ্ধার করে এনডিআরএফের দল। সেই গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হয় প্রাক্তন সৈনিক চঞ্চল বিশ্বাসের দেহ।
এই ঘটনার দুই প্রতক্ষ্যদর্শী পার্থ দাস ও অসীম ঘোষা জানান, এলাকার বাসিন্দারা গাড়ি চালককে ওই রাস্তায় যেতে মানা করেছিলো। তা না শুনে উনি চলে যান। তারপরই দুর্ঘটনাটি ঘটে।