eaibanglai
Homeএই বাংলায়রেল কর্মীকে বেধড়ক মারধর

রেল কর্মীকে বেধড়ক মারধর

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– রেল গেটে কর্মরত এক রেল কর্মীকে মারধরের ঘটনা সামনে এল। ঘটনাটি ঘটেছে সালানপুর থানার অন্তর্গত জেমারি রেলগেটে। আক্রান্ত রেল কর্মীর নাম সুজয় মুখার্জি (৪২)। তিনি সাঁকতোড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে গত ৪ আগস্ট রাত প্রায় বারোটা নাগাদ জেমারি রেলগেটে কর্মরত ছিলেন সুজয়বাবু। সেই সময় একটি ট্রেন হাওড়া দিল্লি মেন লাইনের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। ফলে জেমারি রেলগেট বন্ধ ছিল। ট্রেনটি রেলগেট পার করে চলে যাওয়ার পর স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় এক মিনিট পরে গেট খোলার কথা। ‌ কিন্তু ট্রেন পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেন গেট খোলা হচ্ছে না সেই দাবি জানিয়ে স্কুটি আরোহী এক ব্যক্তি চিৎকার করতে থাকেন ও ঘন ঘন হর্ণ বাজাতে থাকেন। এ সময় কর্তব্যরত রেল কর্মী সুজয়বাবু ওই ব্যক্তিকে জানান এক মিনিট পরেই গেট খুলে যাবে একটু অপেক্ষা করতে। ‌ কিন্তু কোনো কথা না শুনে হঠাৎ করেই ওই ব্যক্তি সুজয় বাবুর উপর চড়াও হন ও মারধর শুরু করেন। সুজয়বাবু কোনোভাবে রেল কেবিনে পৌঁছে আরপিএফকে ফোন করার চেষ্টা করেন। এতে আরও ক্ষেপে যান ওই ব্যক্তি ও সুজয়বাবুকে বেধড়ক মারধর করেন। মারের চোটে একসময় জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুজয়বাবু। অন্যদিকে ওই লাইনে পরবর্তী ট্রেন কোনো সিগনাল না পেয়ে দাঁড়িয়ে যায়। ট্রেন কেন দাঁড়িয়ে পড়ল খোঁজ নিতে গিয়ে আরপিএফ সেখানে পৌঁছে অজ্ঞান অবস্থায় সুজয় বাবুকে উদ্ধার করে এবং তার বাড়িতে খবর দেয়। এরপর রাত প্রায় পৌনে দুটো নাগাদ তাকে জেমারি রেল কেবিন থেকে উদ্ধার করে আসানসোল রেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সুজয়বাবুর এক আত্মীয় সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী জানান মারের ফলে সুজয় বাবুর শরীর থেকে প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। তার ঠোঁট ফেটেছে, গালে বড়সড় চোট লেগেছে, মাথায় গভীর যন্ত্রনা অনুভব করছেন। তার ঠোঁটে তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে। পাশাপাশি কর্তব্যরত রেল কর্মীর উপর এমন বেপরোয়া হামলার জন্য অপরাধীর কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছে সুজয়বাবুর আত্মীয় পরিজন থেকে প্রতিবেশীরা।

অন্যদিকে সালানপুর থানার পুলিশর স্কুটির নম্বরের সূত্র ধরে হামলাকারীকে ধরার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments