eaibanglai
Homeএই বাংলায়হিরোশিমা-নাগাসাকি দিবসে বৃক্ষরোপণ উৎসব পালিত হলো নদীয়ায়

হিরোশিমা-নাগাসাকি দিবসে বৃক্ষরোপণ উৎসব পালিত হলো নদীয়ায়

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, চাকদহ, নদীয়া:– ১৯৪৫ সালের ৬ ই আগস্ট। চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সকাল ৮ টা নাগাদ হঠাৎ জাপানের হিরোশিমার আকাশে দেখা গেল আলোর ঝলকানি। আমেরিকার বোমারু বিমান থেকে জাপানের উপর বর্ষিত হলো পারমাণবিক বোমা ‘লিটল বয়’। ঠিক তিন দিনের মাথায় একই ঘটনা ঘটল জাপানের নাগাসাকিতে। নিমেষেই ধূলিসাৎ হয়ে গেল দু’টো শহর। বাতাস পরিপূর্ণ হলো দূষণে। মৃত্যু যজ্ঞ দেখে কেঁপে উঠল গোটা বিশ্ব। তারপর থেকে নানান অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ওই দিন দুটি স্মরণ করা হয়।

গত ৬ ই আগস্ট হিরোশিমা-নাগাসাকি দিবস স্মরণে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের চাকদহ বিজ্ঞান শাখা, চাকদহ কিশোর বাহিনী ও দিশারী শাখার উদ্যোগে দিশারী ও কিশোর বাহিনীর নিজস্ব প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয় এক মহতি অনুষ্ঠানের। বিকেল পাঁচটায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্থান দুটির ভয়ংকর মারণ দৃশ্য ও পরবর্তীকালে সৃষ্ট দূষণ জনিত বীভৎসতা তুলে ধরা হয় বর্তমান প্রজন্মের সামনে। পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বৃক্ষের চারা। সাথে সাথে বৃক্ষরোপণ ও সেগুলি প্রতিপালনের জন্য তাদের উৎসাহিত করা হয়। বর্তমান দূষণ জনিত পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচতে হলে বৃক্ষের যে কোনো বিকল্প নাই সেটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার সামনে তুলে ধরা হয় ও প্রত্যেককে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করা হয়।

এর আগে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং পরে সুকান্ত ভট্টাচার্য ও রাসবিহারী বসুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে তাদের প্রতি সম্মাননা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি সমাজ কল্যাণ নির্ভর ও সমাজ গঠনের উপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সঙ্গীত পরিবেশন ও কবিতা পাঠ করে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা। তাদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়। সবমিলিয়ে এক ভিন্ন স্বাদের অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকার সুযোগ পায় এলাকাবাসী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের চাকদহ বিজ্ঞান শাখার সভাপতি গোবিন্দ দাস, সম্পাদক মানিক ডিহিদার, জেলা সম্পাদক সোমনাথ মজুমদার, ডা. সুব্রত সরকার সহ সঞ্চিতা সিকদার, সুস্মিত সরকার, শুক্লা দাস, সুভাষ চন্দ্র কাঞ্জিলাল, গোবিন্দ ঘোষ, প্রদীপ কুমার দে, কুশল ঠাকুর, সুদীপ রায়, রাকেশ মণ্ডল ও আরও অনেকেই।

এই দিনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে সঞ্চিতা দেবী বলেন – দূষণের হাত থেকে বাঁচতে হলে বৃক্ষকে আপন করে নিতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে ছাত্রদলকে। তবেই সুকান্তের ‘এবিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি’ স্বপ্ন পূরণ হবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments