সঙ্গীতা মুখার্জ্জী মণ্ডল, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান:- নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে গত ৬ ই আগস্ট সমাপ্তি ঘটল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের উদ্যোগে প্রথমবারের জন্য আয়োজিত ‘জাতীয় সংস্কৃত সপ্তাহ’ উদযাপন। প্রসঙ্গত ভারত সরকারের শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মেনে গত ৩১ শে জুলাই থেকে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। মূলত সংস্কৃত ভাষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়িয়ে তোলার লক্ষ্যে অধ্যক্ষ ড. সুদীপ চ্যাটার্জ্জীর উৎসাহে এবং বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সমীরণ রায়, ড. মণিমালা মণ্ডল সহ অন্যান্য অধ্যাপক ও সংস্কৃত বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংস্কৃত বিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রবীণ অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ ও অধ্যাপক ড. চিরঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এতদিন সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল সংস্কৃত ভাষা শিখলে একমাত্র পুরোহিতের কাজ করা যায়। চতুর্থ দিনের আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে ড. বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক উদাহরণ দিয়ে প্রমাণ করে দেন এই ভাষার মাধ্যমে জীবিকা অর্জনের বহু পথ খোলা আছে। দরকার শিক্ষার্থীদের ভাষা শেখার প্রতি আগ্রহ। ওইদিন গীতার শ্লোকের উপর সোমা খাঁ ও তৃষা দাস পরিবেশিত নৃত্য উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে।
ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ বৃদ্ধির জন্য ছিল সংস্কৃত ভাষায় প্রবন্ধ রচনা, শ্লোক ও স্তোস্ত্র পাঠ, পোস্টার তৈরি, সংস্কৃত সঙ্গীত, একক নৃত্য পরিবেশন, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা। কোয়েল, পৃথ্বিরাজ, রিয়া, সুস্মিতা প্রমুখ শ্লোকে; দেবব্রতা, বৃষ্টি, অঙ্কিতা, পিঙ্কি, তনয়া, প্রিয়া, সোমা প্রমুখ নৃত্যে এবং দিয়া, সঞ্চিতা সহ ১১ জন ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ষষ্ঠ দিনের শেষে মহাবিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অধ্যাপক সমীরণ রায়, অধ্যক্ষ ড. সুদীপ চ্যাটার্জ্জী প্রমুখ।
প্রথমবারের জন্য এতবড় একটি অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করার জন্য সংস্কৃত বিভাগের প্রত্যেক অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রী সহ অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের ভূয়সী প্রশংসা করে অধ্যক্ষ বলেন, আশাকরি এই অনুষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা ছাত্রছাত্রীরা তাদের পড়াশোনায় ব্যবহার করবে। তবেই এই ধরনের অনুষ্ঠান তার যোগ্য মূল্য পাবে।