eaibanglai
Homeএই বাংলায়আসানসোল জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনে পুলিশ আধিকারিকরা

আসানসোল জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনে পুলিশ আধিকারিকরা

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেছে। ওই ঘটনার পর রীতিমতো আতঙ্কিত সরকারি হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। আরজি কর কাণ্ডের দোষীর কঠোর শাস্তি ও সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্য জুড়ে সরকারি হাসপাতালগুলিতে চলছে কর্মবিরতি, আন্দোলন ও বিক্ষোভ।

এই পরিস্থিতিতে রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোল জেলা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বর্তমানে ঠিক কোন পর্যায়ে আছে তা খতিয়ে দেখলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা। এদিনের এই পরিদর্শনে ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি ( সেন্ট্রাল ১) বিশ্বজিৎ নস্কর, আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু ও জেলা হাসপাতালের সহকারী সুপার দেবদ্বীপ মুখোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষন ধরে পুলিশ আধিকারিকরা জেলা হাসপাতালের পুরনো ভবন ও গোটা হাসপাতাল পরিসর বা চত্বর ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি এই মুহুর্তে জেলা হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষী, পুলিশ ক্যাম্পে কতজন পুলিশ কর্মী আছেন, ঠিক কতগুলো সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, তার একটা তথ্য পুলিশ আধিকারিকরা সংগ্রহ করেন।

অন্যদিকে আরজি করের ঘটনার পরে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। যেমন, বর্তমানে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে মাত্র ৪ জন পুলিশ কর্মী আছেন। এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৫ জন করার কথা বলা হয়েছে। রাতের শিফটে এমারজেন্সি বিভাগে দুজন উর্দি ধারী পুলিশ কর্মী মোতায়েন করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রাত দশটা থেকে ভোর চারটে পর্যন্ত প্রতি দু’ঘন্টা অন্তর হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ মোবাইল ভ্যানের টহল দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং এই প্রস্তাবটি রবিবার রাত থেকেই কার্যকর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আসানসোল জেলা হাসপাতালে এই মুহুর্তে ৭৫০ বেড ও একাধিক ওয়ার্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ আছে। প্রতিদিন রোগী ও পরিবারের সদস্য মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষ হাসপাতালে আসেন। পাশাপাশি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন শতাধিক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments