সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তে ভারতীয় জওয়ানের উপর দুষ্কৃতীদের আক্রমণ। সাত জনের বিরুদ্ধে মিহিজাম থানায় অভিযোগ দায়ের। তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মেয়ের অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়ি ফিরেছিলেন আসাম রাইফেলসের জওয়ান ওমপ্রকাশ ভারতী। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরই বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তে দুষ্কৃতীদের আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি। তার উপর প্রাণঘাতী হামলা হয় এবং তার সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা আইডেন্টিটি কার্ড সহ সমস্ত কিছু ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীর দল। ১২ আগস্ট এই ঘটনা ঘটলেও হামলার ঘটনাস্থল পশ্চিমবঙ্গ নাকি ঝাড়খণ্ড কোন রাজ্যের আওতায় পড়ছে, তাই নিয়ে অস্পষ্টতার জেরে শেষ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম থানায় ১৬ আগস্ট এফআইআর দায়ের করা সম্ভব হয়। এরপরই মিহিজাম থানা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯১(২), ১৯১(3), ১৯০, ১১৮(১), ১১৮(২), ১০৯, ৩০৪(২) ধারায় সাত জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। আক্রান্ত জওয়ানের স্ত্রী সরোজ কুমারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মিহিজাম পুলিশ অংশু কুমার, করণ প্রতাপ সিং, রাহুল গুপ্তা ওরফে মুরগি, সমীর খান, যুবরাজ যাদব, বাবলু যাদব এবং ভিক্কি যাদবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই রাহুল গুপ্তা ওরফে মুরগি, যুবরাজ যাদব এবং সমীর খানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনা প্রসঙ্গে মিহিজাম থানার ওসি রাজীব কুমার বলেছেন ঘটনাস্থল সম্বন্ধে খানিকটা ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় মামলা শুরু করতে দেরি হল, কিন্তু কোন দোষীকেই রেহাই দেওয়া হবে না। ধৃতদের মধ্যে দুজনকে মিহিজাম আম্বেদকরনগর ময়দানে মদ্যপানরত অবস্থায় ধরা হয়েছে, অন্যজনকে তার ঘর থেকে পাকড়াও করা হয়েছে। বাকি চারজনকে ধরার জন্য তল্লাশি অভিযান জারি আছে।
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম এবং পশ্চিমবঙ্গের ডোমদহ এলাকার মাঝে ওই জওয়ানকে আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। হামলায় জওয়ানের মাথা ফেটে যায় ও হাতে পায়ে গুরুতর চোট পান। তাকে উদ্ধার করে ধানবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।